পলাতক আসাদের উড়োজাহাজ সিরিয়ার আকাশেই অদৃশ্য, মৃত্যুর জল্পনা!

সিরিয়ার
  © সংগৃহীত

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে তার অবস্থান নিয়ে আলোচনা। এরই মাঝে খবর প্রকাশিত সাবেক এই প্রেসিডেন্টের উড়োজাহাজ নিয়ে। কেউ কেউ বলছে, উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যু হতে পার পালিয়ে যাওয়া আসাদের।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার সকালে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ঢুকে পড়েছিলেন বিদ্রোহীরা। তার পরই বিভিন্ন সূত্রে খবর ছড়ায় রাজধানী ত্যাগ করেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তাকে শেষ বার উড়োজাহাজে উঠতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেই উড়োজাহাজ চেপে তিনি কোথায় গিয়েছেন, তা এখনও অস্পষ্ট। তার মাঝেই খবর মেলে আসাদের উড়োজাহাজ আকাশপথে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! তবে কি আসাদের উড়োজাহাজ ভেঙে পড়ল? মৃত্যু হয়েছে আসাদের? শুরু হয়েছে জল্পনা।

গত কয়েক দিন ধরেই সিরিয়ার একের পর এক শহর দখল করতে শুরু করে সিরিয়ার দুই বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী। আজ তারা রাজধানী দামাস্কাসে ঢুকে পড়ার পরই উড়োজাহাজ ধরে শহর ছাড়েন বাশার। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তার উড়োজাহাজ নিখোঁজ হয়ে যায় আকাশপথে। তার পরই নানা জল্পনা শুরু হয়। অনেকেই দাবি করেন, বাশারের উড়োজাহাজ গুলি করে নামানো হয়েছে! যদিও এই সব খবরের সত্যতা প্রকাশ্যে আসেনি। বিদ্রোহী গোষ্ঠী বা সিরিয়ার সরকারের তরফে কোনও বিবৃতিও দেওয়া হয়নি।

উড়োজাহাজের অনলাইন ট্র্যাকার সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ার একটি উড়োজাহাজ দামাস্কাস বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল সকালে। প্রথমে দেখা যায় উড়োজাহাজটি সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে যাচ্ছে। পরে আকস্মিকভাবেই হোমস শহর পার হতেই কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, উড়োজাহাজটি অদৃশ্য হওয়ার আগে খুব দ্রুত নীচের দিকে নামতে শুরু করে। তার পর আচমকাই অদৃশ্য হয়ে যায় সেটি। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ওই বিমানেই ছিলেন বাশার।

আকাশপথে উড়োজাহাজ অদৃশ্য হওয়ার নেপথ্যে অনেক কারণ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। হতে পারে ওই বিমানের ‘জিপিএস জ্যামিং’-এর কারণে বিমানের গতিবিধি সম্পর্কিত তথ্য মেলেনি। কিংবা উড়োজাহাজের গতিবিধির পুরনো তথ্যই যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে দেখা যেতে পারে। তবে উড়োজাহাজটি গুলি করে নামানোর তথ্যও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।