১ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র
  © ফাইল ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ১ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশনা রয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার নথিবিহীন অভিবাসী রয়েছে, এবং প্রাথমিকভাবে তাদের মধ্যে ১ লাখকে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের আদেশের পর গত ৭ দিনে ২ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এই অভিযান অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, এবং এমনকি যেসব বৈধ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, তাদের মধ্যেও উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে টেক্সাসের মতো অঙ্গরাজ্যে, যেখানে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা বেশি এবং মেক্সিকো সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। এই রাজ্যটিতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু বৃহদাকার বন্দিশালা তৈরি করা হয়েছে, এবং টেক্সাস-মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল নির্মাণের কাজও পুনরায় শুরু হয়েছে।

এদিকে, টেক্সাসের একটি স্কুলের শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন যে তার স্কুলে অনেক শিক্ষার্থী ইংরেজি জানে না এবং আইফোনের ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে যোগাযোগ করে। তার পোস্টের পর পুলিশ এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বাহিনী অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল, তবে পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

অবৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, বিশেষ করে নগর পরিচ্ছন্নতা, ভবন নির্মাণ ও অন্যান্য শ্রমভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে। মার্কিন অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করছেন যে, দীর্ঘমেয়াদে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হলে, তার প্রভাব দেশটির অর্থনীতিতে পড়তে পারে।