ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই খারাপ পরিস্থিতি প্রতিরোধ করা উচিত ছিল। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, কেন হেলিকপ্টারটি উর্ধ্ব বা নিম্নগামী হয়নি কিংবা অন্যদিকে ঘুরেনি, যদিও বিমানটি পরিষ্কার আকাশে এবং নির্দিষ্ট রুটে ছিল।
ট্রাম্প এই ঘটনার পর একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানান, তাকে পুরোপুরি ব্রিফ করা হয়েছে এবং দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এই বিষয়ে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, বিমানটি রুটিন লাইনেই ছিল, তবে হেলিকপ্টারটি দীর্ঘ সময় ধরে সরাসরি বিমানটির দিকে যাচ্ছিল। তিনি কন্ট্রোল টাওয়ারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, কেন তারা হেলিকপ্টারটিকে সঠিক নির্দেশনা দেয়নি।
এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে, রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এর কাছাকাছি। যাত্রীবাহী বিমানটি কানসাসের উইচিটা থেকে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিল এবং এতে ৬০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। হেলিকপ্টারে তিনজন মার্কিন সৈন্য ছিলেন। দুর্ঘটনায় বিমানের ধ্বংসাবশেষ পোটোম্যাক নদীতে পাওয়া গেছে, এবং উদ্ধারকাজ চলছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে এবং হেলিকপ্টারটি পানিতে উল্টে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগন দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে সহায়তা প্রদান করবে বলে জানিয়েছে।
এছাড়া, রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, সেখানে সমস্ত ফ্লাইটের উড্ডয়ন ও অবতরণ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে, এবং বিমানের সরাসরি রুট পরিবর্তন করে ২৮ মাইল দূরের ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানো হচ্ছে।
মার্কিন আইনপ্রণেতারা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করছেন এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জরুরি সেবা সংস্থাগুলোর অসাধারণ কাজের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।