গাজা দখল করতে বাধা দিলে মিশর-জর্ডানে সহায়তা বন্ধের হুমকি ট্রাম্পের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৬ AM , আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৬ AM

গাজা দখলের হুমকির পর এবার আগামী শনিবারের মধ্যে গাজায় স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কাছে থাকা সব জিম্মির মুক্তি চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। না হলে সেদিনই যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। স্থানীয় সময় সোমবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে গতকাল সোমবার দেশটির পরবর্তী ধাপের জিম্মিদের মুক্তি দিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেরি করার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে সোমবার দেওয়া এক পোস্টে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
হামাসের এ সিদ্ধান্তকে ভয়ানক হিসাবে আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প জানান, যুদ্ধবিরতি নিয়ে কী হবে তার সিদ্ধান্ত তিনি ইসরায়েলের হাতে ছেড়ে দিতে চান।
ট্রাম্প বলেন, যদি শনিবার ১২টার মধ্যে সব জিম্মিকে ফেরত না দেওয়া হয় তা হলে আমি বলব এটি (যুদ্ধবিরতি) বাতিল করুন।
এ নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলার সম্ভাবনা রয়েছেও বলে জানান ট্রাম্প।
এদিকে গাজা দখল নিয়ে মিশর ও জর্ডান বিরোধিতা করলে তাদের সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘তারা সম্মত না হলে আমি সহায়তা আটকে রাখব।’
এর আগে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজা দখলের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এজন্য ফিলিস্তিনিদের মিশর অথবা জর্ডানে চলে যেতে বলেন।
এছাড়াও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা দখল করে সেখানে আর ফিলিস্তিনিদের ফিরতে দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, “না ফিলিস্তিনিরা আর গাজায় ফিরতে পারবে না, কারণ তাদের জন্য আরও ভালো আবাসন থাকবে। আরেক কথায়, (গাজার বাইরে) আমি তাদের জন্য স্থায়ী জায়গা তৈরির ব্যাপারে কথা বলছি।”
ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজাবাসীর জন্য তিনি আলাদা পাঁচ থেকে ছয়টি আবাসন তৈরি করবেন। তিনি বলেন, “আমি তাদের জন্য স্থায়ী বাসস্থানের কথা বলছি, কারণ যদি তাদের এখন ফিরত হয়, তাহলে এটি অনেক অনেক বছর লাগবে। গাজা এখন বাসযোগ্য নয়। আমি গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দাদের জন্য ‘সুন্দর কমিউনিটি’ তৈরি করে দেব। যেগুলো হবে নিরাপদ। তবে তারা যেখানে এখন আছে সেখান থেকে এগুলো একটু দূরে হবে। বর্তমানে গাজা ঝুঁকিতে ভরা।”
তিনি আরও বলেন, “এই সময়ের মধ্যে আমি এটি কিনে নেব। এখানে ভবিষ্যত রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্টের কথা ভাবুন। এটি হবে একটি সুন্দর ভূখণ্ড। বড় অর্থ খরচ হবে না।”