গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ২৬ ফিলিস্তিনি
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৩ AM , আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৩ AM

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের নৃশংস হামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এর ফলে এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৯১২ জনে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত ১৫ দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
হামাসের হাতে অপহৃত ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইডিএফ জানিয়েছে, সামরিক অভিযানের মাধ্যমেই তাদের উদ্ধার করা হবে।
এদিকে, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সর্বশেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবারের হামলার পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় নিহত হয়েছেন মোট ৫০ হাজার ৯১২ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৮১ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।