সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালালে চরম মূল্য দিতে হবে ভারতকে, কড়া হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩১ PM , আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩১ PM

ভারত ‘সন্ত্রাসী হামলার’ পরিকল্পনা করছে এমন অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। তিনি ভারতের এ ধরনের বিপজ্জনক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খাজা মুহাম্মদ আসিফ জানান, “ভারত দেশের বিভিন্ন শহরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছে। তার কাছে এমন তথ্য আছে।”
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “ভারত যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় তাহলে পাকিস্তানও একইভাবে জবাব দেবে এবং তাদের (ভারতকে) চরম মূল্য দিতে বাধ্য করবে।”
গত মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের লক্ষ করে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ২৬ নিহত হন। এ ঘটনায় কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তান পরোক্ষভাবে জড়িত বলে অভিযোগ করেছে ভারত। এবং ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সিন্ধু চুক্তি বাতিলসহ একাধিক ব্যবস্থা নেয়। তবে বুধবার আসিফ কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “এই ঘটনার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা কোনো পরিস্থিতিতেই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করি না। স্থানীয় কোনো সংঘর্ষে নিরীহ মানুষদের লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।”
এদিকে কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পেছনে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা রয়েছে—এমন ধারণা ভারতের জনমনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামক একটি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করার পর বিষয়টি আরও জোরালোভাবে উঠে আসে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। এর ফলে দেশজুড়ে ক্ষোভ ও উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। অনেক নাগরিক আবেগতাড়িত হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।
আল জাজিরার সংবাদদাতা নেহা পুনিয়া নয়াদিল্লি থেকে এ ধরনের পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন। তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান উত্তেজনা নিয়ে ভারতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলেন। তাদের মধ্যে অনেকে মনে করেন, ভারত বড় ধরনের প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে।
যদি ভারত কোনো ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নেয় তবে যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। পাকিস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (এনএসসি) বৃহস্পতিবার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, “পাকিস্তানের আইনি অধিকারভুক্ত পানি প্রবাহ বন্ধ বা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার যে কোনো পদক্ষেপ সরাসরি ‘যুদ্ধের উসকানি’ হিসেবে বিবেচিত হবে। এজন্য জাতির শক্তির ব্যবহার করে তার জবাব দেওয়া হবে।”