ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ফের গোলাগুলি
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০১ মে ২০২৫, ১১:৪৪ AM , আপডেট: ০১ মে ২০২৫, ১১:৫৯ AM

কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে টানা সপ্তম রাতেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) গভীর রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) সংলগ্ন অঞ্চলে এ সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের কোনো তথ্য জানা যায়নি। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, পাকিস্তান সেনাবাহিনী কুপওয়ারা, উরি ও আখনূর সেক্টরে এলওসি বরাবর হালকা অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। জবাবে ভারতীয় বাহিনীও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেছে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর বুধবার রাতেও গোলাগুলি হলো। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে গত মঙ্গলবার দুই দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) আলোচনা করেছেন। ভারতীয় ডিজিএমও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করেছেন।
এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ২০০৩ সালের এক চুক্তিকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। দুই দেশ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই ৭৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের উত্তেজনা বৃদ্ধির পর চুক্তিটি মেনে চলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছিল।
এই লঙ্ঘন এমন এক সময়ে ঘটছে, যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে নয়াদিল্লির সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ওয়াশিংটনের সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জোর দিয়ে বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর হামলার প্রতিক্রিয়ার ধরন, লক্ষ্য এবং সময় বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা আছে।
এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উত্তেজনা কমাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিখ জানান, মঙ্গলবার আলাদাভাবে দুই নেতার সঙ্গে কথা বলেন গুতেরেস। এ সময় তিনি ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হতে পারে এমন যেকোনো সংঘাত এড়িয়ে চলতে উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। প্রয়োজনে ‘সৌহার্দপূর্ণ মধ্যস্থতা’রও প্রস্তাব দেন তিনি।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে আলাপকালে দিল্লিকে দায়িত্বশীল আচরণ ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানানোর অনুরোধ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ভারতের একতরফাভাবে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সিন্ধু অববাহিকার পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের যেকোনো পদক্ষেপ পাকিস্তানের কাছে অগ্রহণযোগ্য।