যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে ভারত-পাকিস্তানের একে অপরের অভিযোগ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ১০:২০ AM , আপডেট: ১১ মে ২০২৫, ১০:২০ AM

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় টানা আলোচনা শেষে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন, যার পরপরই উভয় দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়।
তবে চুক্তি কার্যকরের পর উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ভারত দাবি করেছে, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করছে। অন্যদিকে ইসলামাবাদ এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একইসঙ্গে পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টা অভিযোগ এনেছে।
আজ রবিবার (১১ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তান রোববার ভোরে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে তারা “পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ”। এর আগেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পাল্টা হামলার কথা জানায়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভারতের বিরুদ্ধেও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে এবং জানায়, পাকিস্তানি বাহিনী দায়িত্বশীল ও সংযমীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যুদ্ধবিরতির সফল বাস্তবায়নে যেকোনও জটিলতা সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। একইসঙ্গে সীমান্তে অবস্থানরত সৈন্যদেরও সংযম প্রদর্শন করা জরুরি।”
এর আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত জুড়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে ভারত।
গভীর রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এর তীব্র নিন্দা জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি দাবি করেন, যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান “ফের গোলাগুলি” শুরু করেছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর জন্য “সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তান” দায়ী।
তিনি আরও দাবি করেন, ভারতীয় সেনারাও এর সমুচিত জবাব দিচ্ছে এবং পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভারত আশা রাখে, পাকিস্তান পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে অবিলম্বে এই চুক্তিভঙ্গ বন্ধ করবে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, যেকোনও ধরনের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।