৬০০ দিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ৫৪ হাজার ফিলিস্তিনি

ইসরায়েল
  © আনাদোলু

গাজা উপত্যকায় হামাস উৎখাত ও জিম্মিদের উদ্ধারের নামে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই ইসরায়েলি আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়ছে, বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। গাজার জনগণের জন্য এখন আর কোথাও নিরাপদ আশ্রয় নেই।

একদিকে আকাশ ও স্থলপথে তীব্র হামলা, অন্যদিকে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে বাধা—সব মিলিয়ে গাজা রূপ নিয়েছে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ৬০০ দিন অতিবাহিত হতে চললো, এরইমধ্যে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত অবরুদ্ধ ভূখন্ডটি। গাজা পুরো দখলের ঘোষণা দিয়ে সম্প্রতি হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন, যার ফলে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে আরও ৭৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন ইসরাইয়েলি বাহিনীর হামলায়; আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক।  এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে ইতোমধ্যে।  

মঙ্গলবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৫৪ হাজার ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন করে ৭৯ জনের লাশ আনা হয়েছে, আর আহত হয়েছেন আরও ১৬৩ জন। এ নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনের ৬০০ দিনে মোট আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ১২৯।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের এক হামলার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ গাজায় ভয়াবহ এক অভিযানে নামে ইসরায়েলি বাহিনী। দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজার ৯০১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।