দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হলেন তিউনিসিয়ার ৫৭ বিচারক

দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হলেন তিউনিসিয়ার ৫৭ বিচারক
প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ  © সংগৃহীত

নজিরবিহীন ঘটনা ঘটলো তিউনিসিয়ার বিচার বিভাগে। দেশটির বিচার বিভাগ থেকে ৫৭ বিচারককে বহিষ্কার করলেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে দুর্নীতির। এছাড়াও সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে বিভিন্ন সময় কাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়।

আল জাজিরার এক খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে ৫৭ বিচারককে বহিষ্কার করেছেন। যাদের বিভিন্ন সময় সতর্ক করা হয়েছিল।  তবে প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। 

প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ স্থানীয় সময় বুধবার (১ জুন) তাদের বরখাস্ত করেন। এর আগে এক টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ বলেন, জুডিশিয়ারি বিভাগকে শুদ্ধ করার জন্য বার বার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, শুধু তাই নয় সতর্কও করা হয়েছে। তার এমন ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার পর সরকারি গেজেটের মাধ্যমে বরখাস্তের ঘোষণা দিয়ে একটি ডিক্রি জারি করা হয়।

বরখাস্তকৃতদের মধ্যে রয়েছেন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সাবেক প্রধান ইউসুফ বাউজাকার। এই কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট কায়েস গত ফেব্রুয়ারিতে ভেঙে দিয়েছিলেন। তিউনিসিয়ায় ২০১১ সালের বিপ্লবের পর থেকে কাউন্সিলটি বিচারিক স্বাধীনতার গ্যারান্টর হিসাবে কাজ করছিল। গত জুলাইয়ে, করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের অব্যবস্থাপনার জেরে সহিংস বিক্ষোভের পর তিউনিসিয়ার কায়েস সাঈদ দেশটির প্রধানমন্ত্রীকেও বরখাস্ত করেছিলেন। 

স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণও প্রেসিডেন্টের হাতে বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও তিনি বলেছেন যে এই মাসে একটি নতুন সংবিধান প্রবর্তন করা হবে যার মাধ্যমে জুলাই মাসে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

তিউনিসিয়াকে সংকট থেকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করে তিনি তখন থেকেই ডিক্রি জারি করে দেশ শাসন করছেন। তার এমন পদক্ষেপের কারণে অর্থনৈতিক স্থবিরতা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং দুর্নীতির কারণে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের কারণে জনগণের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ