কলকাতায় নিজ পিস্তলের গুলিতে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা

গুলি
কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে  © সংগৃহীত

কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর পর এক পুলিশ সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। তার গুলিতে নিহত হয়েছেন এক নারী। শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে উপদূতাবাসের পূর্ব দিকের প্রাচীরের বাইরে এ ঘটনা ঘটেছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আত্মঘাতী ওই পুলিশ সদস্যের নাম চোদুপ লেপচা। তিনি কলকাতা পুলিশের পঞ্চম ব্যাটালিয়নের সদস্য। মাত্র চারদিন আগে তিনি বাংলাদেশ উপদূতাবাসের পুলিশ আউটপোস্টের ডিউটিতে যোগ দেন।

স্থানীয়রা জানান, উপদূতাবাসে পূর্বদিকের দেয়ালের বাইরের আউটপোস্টে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন একদল পুলিশ। সেখানে ডিউটি করছিলে নতুন এই পুলিশ কর্মী। আচমকা তিনি নিজের এসএলআর রাইফেল নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। গুলি ছিটকে লাগে পাশে দাঁড়ানো একাধিক গাড়িতে। সেই সময়ে রাস্তা দিয়ে বাইকে যাচ্ছিলেন এক নারী। মাথায় গুলি লেগে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। গুলি লেগেছে বাইকচালক অন্য এক যুবকের শরীরেও। ঘটনার পরই নিজের গলায় বন্দুক ঠেকিয়ে আত্মঘাতী হন ওই পুলিশকর্মী।  

স্থানীয়দের মতে, পুলিশ কর্মীটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। আবার কিছু স্থানীয় লোকজন জানান, যে নারী বাইকে করে যাচ্ছিলেন তিনি ওই পুলিশকর্মীর সাবেক প্রেমিকা ছিলেন।

ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকে দুটি মরদেহ। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

উপদূতাবাসের কাউন্সিলর (কনস্যুলার) বশির উদ্দিন বলেন, উপদূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিশের এক সদস্য এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। এতে স্কুটি আরোহী এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হন একজন পুরুষ। পরে নিজের বন্দুক দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই পুলিশ সদস্য।