মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদ
ভারতে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে নিহত ২
- আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১১ জুন ২০২২, ০১:৫৪ PM , আপডেট: ১১ জুন ২০২২, ০২:৪৬ PM

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির বহিষ্কৃত দুই শীর্ষ নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভে সহিংসতার খবরও পাওয়া গেছে। ঝাঁড়খণ্ডের রাঁচিতে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশের গুলিতে দুই প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছে। এছাড়াও চার পুলিশ সদস্যসহ ১২জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন নিশ্চিত করেছেন। খবর এনডিটিভির।
রাঁচি পুলিশের প্রধান আঁশুমান কুমার গুলিতে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সহিংসতায় আট বিক্ষোভকারী ও চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদের আরআইএমএস-সহ অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সহিংসতায় জড়িতদের চিহ্নিত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সহিংস এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এছাড়াও স্থানীয় রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, বিক্ষোভ সহিংসতা শেষে পুলিশ দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এছাড়া আহত আরো দশজনকে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা রাঁচির মেইন রোড এলাকায় জড়ো হয়ে বিজেপির বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লী মিডিয়া সেলের প্রধান নবীন কুমার জিন্দালের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। হনুমান মন্দিরের কাছে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে কিছু লোক পুলিশের দিকে উল্টো পাথর ছুড়তে শুরু করে। এরপর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে এবং লাঠিচার্জ করে।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বর্তমানে সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। এছাড়াও গতকাল পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সহিংসতার পর রাজ্যটির রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে আগামীকাল পর্যন্ত এসব এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঝাঁড়খণ্ডের মূখ্যমন্ত্রী সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঝাঁড়খণ্ডের মানুষ সবসময় সংবেদনশীল ও সহনশীল। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আমি সবার কাছে আহ্বান করবো যেন সবই সম্প্রীতি বজায় রাখে এবং এমন কোন কর্মকাণ্ডে না জড়ায় যেটি পরবর্তী সহিংসতাকে উস্কে দেবে।