ভারতে মুসলিম অ্যাক্টিভিস্টেদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হলো 

ভারতে মুসলিম অ্যাক্টিভিস্টেদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হলো 
  © সংগৃহীত

ভারতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠী। এই প্রতিবাদের অংশ হিসাবে ভারতের উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভ করেন অনেকেই। জানা যায়, বেশ কয়েক জন মুসলিম অ্যাক্টিভিস্টের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দেশটির উত্তর প্রদেশের নিরাপত্তা বাহিনী।

কাতারভিত্তক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, গত মে মাসে এক টেলিভিশন বিতর্কে বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তার মন্তব্যের পর ভারত ও বিভিন্ন বিদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। বিজেপি সাময়িকভাবে বরখাস্তও করেন নূপুরকে। 

নূপুর শর্মার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে ভারতের মুসলিমরা বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে সংঘর্ষ ও সহিংসতায় দুজন মারা যায় এবং বিক্ষোভে জড়িত থাকা উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তিন শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

এরপরই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অবৈধ স্থাপনা এবং বিক্ষোভে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্তদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে জানান রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র।

গত শুক্রবার বিক্ষোভে পাথর ছোড়ার অভিযোগে কয়েকজনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার মধ্যে আছেন রাজনীতিবীদ জাভেদ আহমেদ। তার মেয়ে আফরিন ফাতিমা মুসলিম অধিকার নিয়ে কাজ করছে।

আলজাজিরায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাক্টিভিস্ট ফাতিমা বলেন, যখন আমাদের ২০ বছরের পুরোনো বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছিল তখন আমরা কেউই বাড়িতে ছিলাম না। শুক্রবারে বিক্ষোভের কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ বাড়িতে এসে ৫৭ বছর বয়সী আমার বাবা মোহাম্মদ জাভেদ, আমার মা পারভিন ফাতিমা (৫২) এবং আমার টিনেজার বোন সুমাইয়াকে থানায় নিয়ে যায়।

এদিকে জাভেদ একজন মুসলিম রাজনীতিবীদ। এই বিক্ষোভের মা্স্টারমাইন্ড হিসেবে পুলিশ জাভেদকে দায়ী করছে। গতকাল রোববার সকালে পারভীন এবং সুমাইয়াকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।

ফাতিমা তার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, কর্তৃপক্ষের বুলডোজার দিয়ে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া বেআইনি। বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবার আগে বাড়িটি ভেঙে ফেলা হলো । আমার বাবা যে বিক্ষোভের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এমন অভিযোগ প্রমাণ না করে যা তিনি ছিলেন না তার শাস্তি আমাদের দিচ্ছে।