শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট প্যালেস যেন নতুন একটি পর্যটন কেন্দ্র!

শ্রীংলঙ্কা
  © সংগৃহীত

রাজাপাকসের প্রেসিডেন্ট প্যালেস যেন নতুন একটি পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। অনেককে সুইমিংপুলে সাঁতার কেটে উল্লাস করতে দেখা যায়। কেউবা লনে বসে আনন্দ করেন। একজন বিক্ষোভাকারী প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ডাইনিং রুমে বসে দুপুরের আহারও সারেন। তাও তিনি নিজে একা নন, পরিবারসহ। অনেককে প্রেসিডেন্টের বেডরুমে শুয়ে-বসে থাকতে দেখা গেছে। অনেকে আবার যোগব্যায়াম করছেন।

শনিবার (৯ জুলাই) ভিন্ন কৌশলে এবার তারা প্রেসিডেন্ট প্যালেস আক্রমণ করেন। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী এক সঙ্গে ঢুকে পড়েন প্রেসিডেন্ট প্যালেসে। অগত্যা বাধা দেওয়া থেকে পিছু হটে আইনশঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এমন পরিস্থিতিতে গুলি চালালে পাখির মতো মানুষ মারা যাবে। তীব্র আন্দোলন আর জনরোষের মুখে প্যালেস ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।

এরপর প্রেসিডেন্ট প্যালেসের সবকিছু নিয়ে শুরু হয়েছে লঙ্কাকাণ্ড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে বিক্ষোভকারীদের ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করতে দেখা গেছে।

প্রাসাদ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। ১৩ জুলাই তিনি পদত্যাগ করবেন বলে জানান দেশটির স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা। এদিকে, বিক্ষোভকারীরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ না করা পর্যন্ত প্রাসাদ ছেড়ে যাবেন না তারা। ‘আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি’।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রিতে ঢোকার পর সেখান থেকে লাখ লাখ রুপি খুঁজে পাওয়ার দাবিও করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে থাকা শ্রীলঙ্কার জনগণ আবারও ফুঁসে উঠেছে। অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজনীতিতেও। এর আগে জনগণের ক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ও প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার ভাই। তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গোলযোগের মধ্যে পড়ে নাভিশ্বাস উঠে গেছে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের। খাদ্যপণ্যের আকাশচুম্বী দাম, লোডশেডিং, জ্বালানি তেলের সংকট, পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে দেশটিতে। দৈনন্দিন জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের।