শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে কারফিউ জারি করা হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির।

আজ বুধবার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া কথা থাকলে দুপুর পর্যন্ত পদত্যাগের ঘোষণা না আসায় বিক্ষোভের মূল কেন্দ্রস্থল কলম্বোর গলে ফেস গ্রিন পার্কে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। সেখান থেকে তারা ২০ মিনিটের হাঁটা দূরত্ব ফ্লাউয়ার রোডে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে রওনা দেন। বিক্ষুব্ধ নাগরিকেরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করছেন।

এদিকে সামরিক একটি বিমানে করে মালদ্বীপে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। গণবিক্ষোভের মুখে দেশ ছাড়লেন তিনি। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার পদত্যাগ করার কথা থাকলেও এর আগেই দেশ ছেড়েছেন গোতাবায়া।  বুধবার ভোর রাত তিনটায় তিনি মালদ্বীপের রাজধানী মালে পৌঁছান বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি তিনি।

এদিকে শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করলে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৩০ দিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হয়ে যাবেন। এই অনুযায়ী রনিল বিক্রমাসিংহেরই প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে জানান, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগের পর সর্বদলীয় অন্তবর্তী সরকার গঠনে সম্মতি আসলে তিনিও পদত্যাগ করবেন। 

টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর। কারণ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। টিয়ার গ্যাসের বিপরীতে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বোতল নিক্ষেপ করছেন বিক্ষুব্ধ জনগণ।