ভারতে চলছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন

রাইসিনা হিলের লড়াইয়ে যশবন্ত-দ্রৌপদী

রাইসিনা হিলের লড়াইয়ে যশবন্ত-দ্রৌপদী
যশবন্ত সিনহা ও দ্রৌপদী মুর্মু  © সংগৃৃহীত

ভারতে শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। লড়াইয়ে রয়েছেন ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু এবং বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। দেশটির লোক ও  রাজ্যসভার সদস্য ও রাজ্যগুলোর বিধায়কদের ভোটে নির্ধারিত হবে কে হতে চলেছেন রাইসিনা হিলের পরবর্তী বাসিন্দা। সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। খবর এনডিটিভির।

ক্ষমতাসীনরা আশা করছেন তাদের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু অন্তত ৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। অন্যদিকে বিরোধীদের সম্মিলিত প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে বিজয়ী করে তারাও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশবাসীকে বার্তা দিতে চাচ্ছেন।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সরকার দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রামনাথ কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোনীত করার পূর্বেও ৬৪ বছর বয়সী দ্রৌপদী মুর্মুর নামটি দেশটির সর্বোচ্চ অফিস দখলের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। এবার এনডিএ শিবির তফসিলি আদিবাসী নারী মুখ দ্রৌপদী মুর্মুকে নিজেদের রাষ্ট্রপতি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচিত করে চমক দিয়েছে। যিনি ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল ছিলেন। যার কারণে শুধু ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চারই নয় একই সঙ্গে ওড়িশ্যার নবীন পট্টনায়েকের-ও দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয় ক্ষমতাসীনরা। 

দ্রৌপদী মুর্মুকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতেশ কুমারও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সমর্থন করার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এদিকে মহারাষ্ট্রের বিভক্ত শিবসেনারও দু’টি পক্ষই রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠিটি ইতোমধ্যে বিজেপির সঙ্গে জোট করে এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করছে। অন্যদিকে উদ্ধব ঠাকরের অনুসারীরাও তাকে সমর্থন করছেন।

যদিও ঠাকরে গোষ্ঠি প্রথমে বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন করলেও ১৬ এমপি উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের সিদ্ধন্ত ঘোষণা দেয়। যদিও যশবন্ত সিনহা এটিকে বলছেন, দ্রৌপদীকে সমর্থন দিতে তাদের ওপর চাপ প্রয়োজ করা হয়েছে।

পরপর তিনজন প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার পর বিরোধীরা সাবেক তৃণমূল নেতা ও বাজপেয়ি মন্ত্রীসভার সদস্য  যশবন্ত সিনহাকে তাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে লড়ার জন্য চূড়ান্ত করে। 

ভারতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মাধ্যমে। যেখানে ভোট দেয় সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচিত সদস্য এবং সমস্ত রাজ্যের বিধানসভার সদস্যদের পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সদস্যরা। ভোটের জন্য কোন হুইপ নির্ধারণ করা যায় না। এমপি এবং বিধায়করা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে গোপন ব্যালটে ভোট দেবেন।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২১শে জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ভোট গণনা। আর নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন ২৫শে জুলাই।