শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২২, ০১:৩৮ PM , আপডেট: ২০ জুলাই ২০২২, ০১:৫৬ PM

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। বুধবার দেশটির পার্ল্টামেন্টে এমপিদের ভোটে রনিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের পর স্পিকার নতুন প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করেন। খবর শ্রীলঙ্কান ইংরেজি দৈনিক ডেইলি মিররের।
ডেইলি মিররের খবরে বলা হয়, ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২২৫টি ভোটের মধ্যে ১৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রীলঙ্কা পদুজনা পেরামুনার (এসএলপিপি) নেতা দুলাস আলহাপেরুমা ৮২ ভোট পেয়েছেন। আর বামপন্থী রাজনৈতিক দল জনতা বিমুক্তি পেরামুনার (জেভিপি) নেতা অনুধা কুমারা দিসানায়েক পেয়েছেন ৩ ভোট। একজন এমপি ভোটদানে বিরত ও একজন অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকায় জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১২ ভোট।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় জর্জরিত শ্রীলঙ্কাকে উদ্ধারে নেতৃত্ব কে দেবে সে লক্ষ্যে বুধবার পার্লামেন্টে এমপিরা গোপন ব্যালটে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে শুরুতে প্রার্থী ছিলেন চারজন। তবে দুলাসের সমর্থনে শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়ান সঙ্গী জন বালাওয়েগারের (এসজেবি) সাজিথ প্রেমাদাসা। গত সপ্তাহে গণরোষের মুখে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া দেশ ছেড়ে পালালে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেতে হয় লঙ্কান পার্লামেন্টের এমপিদের। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করলেন দেশটির এমপিরা।
এর আগে ১৯৯৩ সালের মে দিবসে তামিল টাইগারের আত্মঘাতী হামলায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আর প্রেমাদাসা নিহত হন। তিনি বর্তমান বিরোধী দলের নেতা সাজিথ প্রেমাদাসার বাবা। পরে মে মাসেই এক অধিবেশনে পার্লামেন্ট সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে ডি বি বিজেতুঙ্গাকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেন। ওই সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রেমাদাসার বাকি মেয়াদ পূর্ণ করার পর তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কায় রাজাপক্ষেদের সরকার উৎখাতে মাঠে নেমেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে গদি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা দুই ভাই গোতাবায়া ও মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তবে রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে এখন রাজাপক্ষেদের সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁর নিয়োগকেও দেখা হচ্ছে গণতন্ত্রের লঙ্ঘন হিসেবে। নতুন প্রেসিডেন্ট পেলেও দেশটির পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে মনে হচ্ছে না।