শস্য রপ্তানি চুক্তিতে সই করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২২, ০৩:৫৮ PM , আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২২, ০৪:০০ PM

অবশেষে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় শস্য রপ্তানির বিষয়ে চুক্তি করেছে যুদ্ধরত রাশিয়া ও ইউক্রেন। বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবেলায় যেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনীয় বন্দর রাশিয়ার দখলে চলে গেলে শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ইউক্রেনকে বলা হয় ইউরোপের রুটির ঝুড়ি। খবর আলজাজিরার।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলের বিলাসবহুল ডলমাবাহচে প্রাসাদে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রী ওলেক্সান্ডার কুবরাকভ পৃথকভাবে এ চুক্তিতে সাক্ষর করেন। তবে চুক্তিতে সাক্ষর করলেও এ দুই নেতা একই টেবিলে বসা এড়িয়ে গেছেন। এমনকি নিজেদের মধ্যে হাতও মেলাননি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান ও জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতারেস। এসময় এরদোগান ও গুতারেস বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এ চুক্তিটি বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবেলা করতে সহায়তা করবে।
যুদ্ধরত ইউক্রেন বিশ্বের বৃহৎ শস্য রপ্তানিকারক দেশ। কিন্তু কৃষ্ণ সাগরের ইউক্রেনীয় বন্দরে রাশিয়ার অবরোধের ফলে এ বন্দর দিয়ে দেশটির রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত চুক্তিটির মেয়াদ ১২০ দিন। যা পরবর্তীতে কোন আলোচনা ছাড়া প্রয়োজনে রিনিউ করা যাবে।
এন্তোনিও গুতারেস বলেন, আজ কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে একটি আলোকবর্তিকা দেখছি। একটি আশার আলো, একটি সম্ভাবনার আলোকবর্তিকা। স্বস্তির আলো যা এখন বিশ্বে আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনকে চুক্তিটি পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। এসময় তিনি চুক্তিটি অনুষ্ঠানে সহায়তা করার জন্য তুরস্কের সহায়তা এবং ধৈর্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেন, এ চুক্তির ফলে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের শস্য বিক্রি করা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে ২০ মিলিয়ন টন শস্য, যেগুলো গত বছর রপ্তানি করা যায়নি।
জাতিসংঘ বলছে, তুরস্ক, ইউক্রেন এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তারা যৌথভাবে কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে একটি পূর্বপরিকল্পিত রুট নেভিগেট করবে। তার আগে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে জাহাজে শস্য বোঝাই পর্যবেক্ষণ করবে তারা। ইউক্রেনীয় পাইলট জাহাজগুলো নিরাপদ চ্যানেলের একটি মানচিত্র ব্যবহার করে উপকূল রেখার আশপাশের মাইন রাখা অঞ্চলগুলোতে গাইড করবে শস্য পরিবহনকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে। তারপর জাহাজগুলো তুরস্কের বসফরাস প্রণালির দিকে যাবে। ইস্তানবুলের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে সেগুলোকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে জাতিসংঘ, ইউক্রেন, রাশিয়া ও তুরস্ক।