পুতিনের বান্ধবীর ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২২, ১২:২৪ PM , আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২২, ১২:২৪ PM

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথিত প্রেমিকা অ্যালিনা কাবায়েভা, ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ধনকুবের আন্দ্রেই গ্রিগোরিয়েভিচ গুরিয়েভসহ রাশিয়ার বেশ কয়েকজন নাগরিকের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির।
নতুন নিষেধাজ্ঞায় পুতিনঘনিষ্ঠ ধনকুবের আন্দ্রে গ্রিগোরিভিচ গুরিয়েভের নাম রয়েছে। তিনি লন্ডনে উইটানহার্স্ট এস্টেটের মালিক। বাকিংহাম প্যালেসের পর এটি লন্ডনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাড়ি। গুরিয়েভ হলেন ফস অ্যাগ্রো কোম্পানির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। ফস অ্যাগ্রো কোম্পানিটি বৈশ্বিক সার বাজারের বড় সরবরাহকারী। তিনি ও তাঁর ছেলের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বিভিন্ন ব্যাংকের শাখাসহ কোনো মার্কিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তাঁদের সঙ্গে লেনদেন করতে পারবে না। মার্কিন বিচারব্যবস্থার আওতায় তাঁদের সম্পত্তি জব্দ করা হবে।
গুরিয়েভের ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জভিত্তিক ৮১ মিটারের (২৬৭ ফুট) প্রমোদতরি আলফা নেরোকে নিষিদ্ধ তালিকায় যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রমোদতরিটি বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
অবশ্য মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ বলছে, বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে আলফা নেরো প্রমোদতরিটির অবস্থান শনাক্তকারী হার্ডওয়্যার বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অলিম্পিকের সাবেক জিমন্যাস্ট অ্যালিনা কাবায়েভার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি। তাঁকে পুতিনের প্রেমিকা বলা হয়ে থাকে। এ ছাড়া রুশ সরকারের বিনিয়োগ তহবিলের ব্যবস্থাপক কিরিল দিমিত্রিয়েভের স্ত্রী নাতালিয়া পোপোভার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ বলছে, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইনোপ্রাক্তিকার জন্য কাজ করতেন পোপোভা। পুতিনের এক মেয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসনের কারণে নিষ্পাপ মানুষেরা যখন ভুগছে, তখন পুতিনের মিত্ররা নিজেদের সমৃদ্ধ করছে এবং সমৃদ্ধ জীবনধারার জন্য তহবিল জোগাচ্ছে।’
রাশিয়ার অন্যতম কর পরিশোধকারী ভিক্টর ফ্লিপোভিচ এবং তাঁর মালিকানাধীন ইস্পাত কোম্পানি এমএমকের দুটি সহায়ক সংস্থাকেও নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রেজারি বিভাগের পাশাপাশি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও বেশ কয়েক রুশ ব্যবসায়ীর ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৯০০ রুশ কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছে।