অবশেষে নিজের মনের মানুষ পেলেন নিজেই নিজেকে বিয়ে করা সেই তরুণী!

বিয়ে
ক্ষমা বিন্দু  © ফাইল ফটো

মনের মানুষের খোঁজ নেই। নিজেকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতের গুজরাটের তরুণী ক্ষমা বিন্দু। গত ১১ জুন হিন্দু রীতি মেনে নিজের সিঁথিতেই দিয়েছিলেন সিঁদুর। ভারত এই প্রথম ‘সোলোগামি’ বিয়ে প্রত্যক্ষ করেছিল। 

নিজেকেই নিজে বিয়ে করার এ ঘটনাকে বলা হয়ে থাকে ‘সলোগ্যামি’। পশ্চিমা বিশ্বে গত দুই দশকে এমন বিয়ের উদাহরণ দেখা গেলেও বিন্দুই ছিলেন ভারতে প্রথম ‘সলোগ্যামি’র নজির।

এই তরুণী জানিয়েছিলেন তিনি নিজেকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। আর তাই সমাজের রক্তচোখ এড়িয়ে নিজেকেই বিয়ে করতে চান তিনি। বিয়ের পর প্রায় তিন মাস কেটে গেছে। কেমন আছেন সেই ক্ষমা বিন্দু?

ক্ষমার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল খুললেই বোঝা যাবে, এই তরুণী বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন। তবে একান্তে নিভৃতে। গত ১৮ অগাস্ট একটি ভিডিও পোস্ট করে ভালোবাসার কথা ভাগ করে নিয়েছেন ক্ষমা। জানিয়েছেন, মনের মানুষ পেয়ে গিয়েছেন। তবে কি কোনও পুরুষ এল ক্ষমার জীবনে? 

ইনস্টাগ্রামে ক্ষমার পোস্ট করা ভিডিও বলছে, আমি দীর্ঘদিন সত্যিকারের ভালোবাসা খুঁজেছি। অবশেষে আমি নিজের মনের মানুষ পেয়ে গেছি। আর সেই মনের মানুষ হলাম আমি। কিছু ভিডিওতে সিঁদুর পরে দেখা গিয়েছে ক্ষমাকে। নিজেকে ভালোবেসে তিনি মাঝে মধ্যেই পাড়ি দিচ্ছেন হেথায়-হোথায়।

জানা যায়, ক্ষমা নিজেকে বিয়ে করার কথা ঘোষণা করে বলেছিলেন, তিনি নিজেকে বড্ড বেশি ভালোবাসেন। কর্মব্যস্ত জীবনে 'সেলফ লভ'-এর কথা আমরা ভুলে যাই। এই পরিস্থিতিতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় মেয়েদের। সংসারের চাপ, দায়িত্ব সামলাতে সামলাতে তাঁরা নিজেকে ভুলতে বসেন। তাই এই ‘আমার আমিকে’ ভালোবাসার জন্য নিজেকেই বিয়ে করতে চান তিনি।

বিয়েতে যাবতীয় রীতি মেনেছিলেন তিনি। লাল বিয়ের পোশাক, নিজের সিঁথি রাঙিয়েছিলেন সিঁদুরে। এমনকী, মেহেন্দি অনুষ্ঠানও করেন তিনি। এমনকি, বিয়ের পর দু'সপ্তাহ মধুচন্দ্রিমা যাপন করতে গোয়াতে গিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য ক্ষমার এই সিদ্ধান্তে বিস্তর আপত্তি তুলেছিল সমাজের একাংশ। তাতে অবশ্য বিশেষ কান দেননি এই কন্যা।

সূত্র: এই সময়