বাংলাদেশে গোলাবর্ষণে তারা নয়, আরাকান আর্মি:  দাবি মিয়ানমারের

মিয়ানমার
  © সংগৃহীত

সর্বশেষ শুক্রবার রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া চারটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক যুবক নিহত হন। আহত হন রোহিঙ্গা শিশুসহ পাঁচজন।

এসব ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে মোট চারবার তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। সবশেষ তলব করা হয় রোববার ( ১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে।

মিয়ানমারের দূত কী বলেছেন, সেটি তুলে ধরে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব জানান, অং কিউ মোয়ে দাবি করেছেন, এগুলো (গোলা বর্ষণ) আসলে এটা একটা দুর্ঘটনা।

রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, ‘মিয়ানমার আর্মি বলছে আরাকান আর্মি তাদের গুলি অস্ত্র চুরি করে বাংলাদেশে গুলি করছে। যাতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। বাংলাদেশ যাতে মিয়ানমারকে অবিশ্বাস করে। আসলে কে দায়িত্ব নেবে তা নিরুপন করা আসলে কঠিন। তারা খারাপ উদ্দেশ্য নিয়েও গোলা পাঠিয়ে থাকতে পারে। তারা (মিয়ানমার) অনেক সময় এটাও বলে থাকে বা এমন দোষও দেয়, আরাকান আর্মি আমাদের এখান থেকে গিয়ে হামলা করে।

ঢাকার উদ্বেগের বিষয়ে মিয়ানমারের দূত কী বলেছেন- এই বক্তব্য তুলে ধরে খোরশেদ আলম বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত আমাদের তেমন কিছু জানাননি। উনি জানিয়েছেন, আমাদের এই বক্তব্যগুলো নেপিডোকে জানাবেন।’

এই প্রশ্নে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা বলেছি, হ্যাঁ, এটা আপনাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আপনারা এটা সামলাবেন। এটা যেনো কোন ভাবেই বাংলাদেশের সীমান্তের এপারে ছড়িয়ে না পড়ে। এ বিষয়ে সতর্ক হবেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা মিয়ানমারকেই গ্রহণ করতে হবে। এটা তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের কোনা গোলা যেন আমাদের দেশে না আসে সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের না। সেটা সেখার দায়িত্ব মিয়ানমারের। বাংলাদেশ সবসময়ই দায়িত্বশীল ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র। আমরা অনেকদিনই ধৈর্য ধরে এই বিষয় দেখে আসছি। আমরা তাদের বলেছি, আপনারা দ্রুত আপনাদের সমস্যা সমাধান করুন। যাতে আমাদের এখানে আর রক্তারক্তি না হয়। আমাদের এখানে যেন কোনো প্রাণ আর না যায়।

সীমান্তে মিয়ানমার সেনা মোতায়েন করলেও এপাবে এখনও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি দিয়েই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চাইছে বাংলাদেশ। আপাতত এর বাইরে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার কথা বললেন পররাষ্ট্র সচিব। জানান, সীমান্তে এখনই সেনা মোতায়েনের কথা ভাবা হচ্ছে না।