গোতাবায়ার বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি শ্রীলঙ্কান আদালতের 

গোতাবায়ার বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি শ্রীলঙ্কান আদালতের 
গোতাবায়া  © ফাইল ফটো

শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। শ্রীলঙ্কার বর্তমান অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে মূলত তার অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করা হয়। এর আগে তীব্র আন্দোলনের জেরে প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

শ্রীলঙ্কার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গোতাবায়া রাজাপাকসের দুই ভাই মাহিন্দা ও বাসিলসহ তার প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের বিরুদ্ধেও মামলার অনুমোদন দিয়েছেন আদালত। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করে সংস্থাটি।

তাছাড়া চলতি বছরের শুরুর দিকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে দেরিতে অর্থসহায়তার চাওয়া ও সার্বভৌম ডলার বন্ডের পরিশোধের বিষয়ে অডিটর জেনারেলকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

চরম অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কায় গণবিক্ষোভ শুরু হয়। গণবিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে গত মে মাসে পদত্যাগ করেন। মাহিন্দার ছোট ভাই গোতাবায়া। তাদের আরেক ভাই বাসিল।

গত ১৩ জুলাই শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে মালদ্বীপে যান শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। পরদিন ১৪ জুলাই তিনি মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে যান। সিঙ্গাপুরে গিয়ে তিনি তার পদত্যাগপত্র দেশে পাঠিয়ে দেন। ১৫ জুলাই তার আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার।

সিঙ্গাপুর গোতাবায়াকে স্বল্পমেয়াদি ‘ভিজিট পাস’ দিয়েছিল। এই ভিজিট পাসের মেয়াদ শেষ হলে ১১ আগস্ট তিনি সিঙ্গাপুর থেকে থাইল্যান্ডে যান। ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে থাইল্যান্ড থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে শ্রীলঙ্কায় ফেরেন ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া।