সন্তান ভালো মানুষ হোক- এটাই চাওয়া বিশ্বসেরা বিতার্কিক সাজিদের বাবার

ডিবেট
বাবা-মার সঙ্গে সাজিদ আসবাত খন্দকার  © টিবিএম ফটো

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপকে (ডব্লিউইউডিসি) বলা হয় বিতর্কের বিশ্বকাপ। ২০১৮ সাল থেকে পর পর তিনবার শিরোপার খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করা সাজিদ আসবাত খন্দকার সৌরদীপ পাল, কিন্তু পারেননি। ডব্লিউইউডিসির নিয়ম অনুযায়ী, এবারের আসরের আয়োজক ছিল সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের ইউনিভার্সিটি অব বেলগ্রেড। আর এই আসরে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশেরব্র্যাক এ। দলটির প্রতিনিধিত্ব করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্নাতকোত্তরের দুই শিক্ষার্থী সাজিদ আসবাত খন্দকার সৌরদীপ পাল। এর আগে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে স্নাতক করেন তাঁরা দুজনই। এখন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ফলিত অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে পড়ছেন।

এই প্রথম ডব্লিউইউডিসির ফাইনালে উঠল বাংলাদেশের কোনো দল। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, শিকাগো স্টেট ইউনিভার্সিটি, অক্সফোর্ড, কেমব্রিজের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে হারিয়ে মিলেছে ফাইনালের টিকিট। ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের মতো দলের সঙ্গে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়া মহাদেশের আর কোনো দেশই এর আগে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জিততে পারেনি।

টাঙ্গাইলে জন্ম নেওয়া সাজিদ আসবাত খন্দকারের বাবা শামীম আল মামুন। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন সদস্য। বর্তমানে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পে লিয়েনে কর্মরত আছেন। তাঁর চাকরিসূত্রে শিশুকালে বাহরাইনে ছিলেন সাজিদ। সেখানেই বৃটিশ স্কুল, বাহরাইন এ তাঁর হাতে খড়ি । দেশে ফিরে ধানমণ্ডি টিউটরিয়াল স্কুল থেকে সকল বিষয়ে এ স্টার নিয়ে -লেভেল, -লেভেল শেষ করেন। পরে ঢাবির আইবিএতে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকে স্নাতক শেষে ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভারে যোগদান করেছেন। পাশাপাশি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন মাস্টার্স অব সায়েন্স ইন অ্যাপ্লায়েড নিয়ে ইকোনমিকসে।

বির্তক অঙ্গনে সাজিদ আসবাত খন্দকার এখন অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার নাম। দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টসকে তাঁর বেড়ে উঠা সফলতার গল্প বলেছেন বাবা শামীম আল মামুন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইখতিয়ার উদ্দিন সাগর-

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: যখন জানতে পারলেন, আপনার ছেলে বিতর্কের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ওই সময় আপনার আপনার পরিবারের অনুভুতি কেমন ছিল?

শামীম আল মামুন: এটাতো অবশ্যই আনন্দের বিষয়। আমরাও প্রত্যাশা করেছিলাম যে, এবার ভালো কিছূ একটা হবে। কারণ এর আাগে এই একই টিম কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে আউট হয়েছে। তারপর এবার ছিল তাঁদের শেষ সুযোগ। এবার যখন তাঁরা ফাইনালে উঠেছিল তখন নাভার্সও ছিলাম সাথে সাথে ভালো ফলাফল প্রত্যাশাও করেছিলাম। আমি ডিবেটটা সরাসরি দেখছিলাম, সাজিদের বক্তৃতা যখন শেষ হয় তখনই আমার মনে হয়েছে যে এবার জয়ের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। পরবর্তীতে ঠিক তাই ঘটেছে। তাঁরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এবং দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও সবাই আনন্দিত।

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: আপনার সন্তানের বিতর্ক কবে থেকে শুরু এবং প্রথম কোন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল? তখন কি ভেবেছিলেন আপনার ছেলে দেশের জন্য এতো বড় সফলতা এনে দেবে?  

শামীম আল মামুন: ওর লেখা পড়া শুরু হয়েছিল বাহরাইনের ব্রিটিশ স্কুলে সেখানে  ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়েছে। বাহরাইন থেকে আমরা চলে আসি ২০০৮ সালে। এরপর সাজিদকে ঢাকার ধানমণ্ডি টিউটরীয়ালে  ভর্তি করে দেই। তখন আমি তাকে স্কুলের ডিবেটিংয়ে জড়িত হতে উৎসাহ দেই। এরপর সে স্কুলের ডিবেটে চ্যাম্পিয়ন। ২০১৪ সালে বিটিভি আয়োজিত ন্যাশনাল ডিবেটিং কম্পিটিশনে স্কুলের ক্যাপটেন হিসেবে তাঁর স্কুলকে জাতীয়ভাবে প্রথম চ্যাম্পিয়ন করে। 

সে সময়টাতে মনে হয়নি যে ছেলে একদিন বিতর্কের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবে। কারণ বিশ্বে যারা ডিবেটিং জগত মাতিয়ে রাখে তাঁরা এলএসই, টরন্টো, ক্যামব্রিজ, হার্ভার্ড কিংবা সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এরা দীর্ঘকাল যাবত ডিবেট করে আসছে। তাই সাজিদ এরকম কিছু করবে আমি তা ভাবিনি। কিন্তু তার একটা বড় গুণ হলো যে সে ছোটবেলা থেকেই খুব অনুসন্ধিৎসু ছিল। সে সব সময় প্রশ্ন করতো। তাই আমরা তার এই অনুসন্ধিৎসু মনকে দমিয়ে দেইনি। আমরা চেষ্টা করছি তাঁর সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার, তাকে উত্তর দিয়ে সন্তুষ্ট করার কিংবা তাকে বুঝানোর। এসব কারণে মনে হতো সে ভালো কিছু করতে পারে। কিন্তু বিতর্কে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে সেটা ভাবিনি। পরবর্তীকালে সে ভালো বির্তক করতো তাই  আশা করেছি, যারা  বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় তাদের পাশে সাজিদ কখনও দাঁড়ালেও দাঁড়াতে পারে।

 সৌরদীপ পাল ও সাজিদ আসবাত খন্দকার (সংগৃহীত)

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: আপনার ছেলেকে বিতর্ক বা লেখাপড়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে দেখেছেন। সেই বিষয়গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন, যাতে নতুন যারা বিতার্কিক হতে চায় তারা এখন থেকে শিখতে পারে।   

শামীম আল মামুন: আমি নিজে বির্তক করিনি তাই এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে আমার মনে হয়েছে বিতর্কে সমসাময়িক বিষয়ে প্রচুর পড়াশোনা করা দরকার। সাজিদ প্রচুর পড়াশোনা করে। অনেক বিষয়ে আমার সাথে গল্প করে এবং অনেক বই, তত্ব এবং ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। এক কথায় আমরা দুইজন প্রচুর আড্ডা দেই। বইপত্র নিয়ে অনেক গল্প করি। বিতর্কের বিষয়ের উপর পড়াশোনার কোন সিলেবাস নেই। সবই পড়তে হয়। এজন্য প্রথম কথা হচ্ছে বই পড়াটা জরুরি। আরেকটা হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। আমাদের ভাষা এবং উচ্চারণ একজন ব্রিটিশ কিংবা আমেরিকানের মতো নাও হতে পারে। কিন্তু বাক্যের স্পষ্টতা, যুক্তির প্রখরতা এবং চিন্তার ধারাবাহিকতা থাকা দরকার। এগুলো একত্র হলে ভাবনাগুলো স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা সম্ভব হয়।

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: সাজিদের বিতর্কের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জার্নির বিষয়ে বলুন।  

শামীম আল মামুন: ২০১৭ সালে সাজিদ প্রথম আইবিএ থেকে ইউনাইটেড এশিয়া ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহন করে। এ ডিবেটে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তার দল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের আর্ন্তজাতিক ডিবেটে প্রথম আত্মপ্রকাশ করি এ টুর্নামেন্টে বেস্ট এশিয়ান স্পিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং সকলের মনযোগ আকর্ষণ করে। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে তার আগে আর কেউ এশিয়ার বেস্ট স্পিকার নির্বাচিত হননি। তারপর আরো একবার এশিয়ান বেস্ট স্পিকার হয়। এটা দেখে তখন অনেকে ভেবেছিলেন সে একদিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারে। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৯। তারপর সে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড ইউনির্ভাসিটি ডিবেটিংয়ে অংশ নিতে মেক্সিকো যায় এবং ওপেন ব্রেক করে। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ ডিবেটিং তিনবার অংশগ্রহণ করে। এবার (চতুর্থ বার) সে চ্যাম্পিয়ন হয়। এর আগে দুইবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে আউট হয়ে গিয়েছে। তখন থেকে যারা ওয়ার্ল্ড ডিবেট ফলো করতো তাঁরা অনেকেই মনে করতেন যে সাজিদ একদিন ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারে। 

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: এর আগেও বিতর্কের বিশ্বকাপে প্রতিযোগিতা করেছে সাজিদ তখন চূড়ান্ত সফলতা পায়নি, সেই সময় কি মনে হয়েছে আগামীতে সাজিদ চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে।

শামীম আল মামুন: এই প্রতিযোগিতায় ওপেন ক্যাটেগরিতে ব্রেক করাই কঠিন। কোয়ার্টার ফাইনালে ডিবেট করা একটি মর্যদার বিষয়। বিশ্বের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে নিজেদের স্থান করে নেয়া গৌর করার জন্য যথেষ্ট। সাজিদ এবং সৌরদ্বীপ  বিতর্কের বিশ্বকাপে দুবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে, কখনো প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়েনি। তবে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পরার পর মাঝে মাঝে মনে হতো এতো কাছে এসেও চূড়ান্ত সাফল্য পেল না। কিন্তু প্রত্যেক বাবা-মা তার সন্তানের সাফল্য দেখতে চায়। প্রত্যেক বাবা-মা চায় যে তাদের সন্তান যে কাজটি করেছে তার চূড়ান্ত বা সর্বোচ্চ সাফল্যটি যেন পায় - আমরাও ব্যতিক্রম নই। আমরা আশা করতাম এবং আমাদের মতো অনেকেই বিশ্বাস করতেন যে সাজিদ ও সৌরদ্বীপের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবার সম্ভাবনা আছে।

সাজিদের বাবা শামীম আল মামুন (টিবিএম ফটো)

দ্যা বাংলাদেশ মোমেন্টস: অন্যদের থেকে সাজিদের বিতর্কে বিশেষত্ব কোথায় বলে আপনি মনে করেন

শামীম আল মামুন: সাজিদ খুব যৌক্তিকভাবে কথা বলে। খুব স্পষ্ট যুক্তি দেয়, তার যুক্তির উপাদান খুব শক্তিশালী। সে খুব দ্রুত উপলদ্ধি করতে পারে অর্থাৎ খুব সহজে ধারণ (Perceive)  করতে পারে। ডিবেটিংয়ে অল্প সময়ে অনেক বিষয় চিন্তা করতে হয় কারণ যে মোশন বা বিষয়ে ডিবেট করতে হয় সেটা জানানো হয় ডিবেট শুরুর মাত্র ১৫ মিনিট আগে। মোশনটা ১৫ মিনিট আগে হাতে পেয়ে প্রস্তুতি নিতে হয় প্রায় ঘন্টা ২০/৩০ মিনিটের ডিবেট সেশনের জন্য। এই ১৫ মিনিটের মধ্যে সাজিদ খুব স্পষ্টভাবে বিষয়টি অনুধাবণ করতে পারে এবং সে জানে সে কি বলতে যাচ্ছে। আরেকটা হচ্ছে সে বিভিন্ন বিকল্প যৌক্তিক ধারণা উপস্থাপন করতে পারে। একজনে একটা বিষয় হয়তো একভাবে দেখছে, কিন্তু তাঁর যে আরও বিকল্প সমাধান থাকতে পারে এগুলো সাজিদ সহজে বুঝতে পারে। এজন্য তাঁর ডিবেটে অন্যদের থেকে একটু ভিন্ন বলে মনে হয় এবং সে কারণেই হয়তো তার এই ধারাবাহিক সাফল্য। সে এশিয়ান, কেমব্রিজ ওপেন এবং কোলগেট ইউনির্ভাসিটি ওপেন  চ্যাম্পিয়ন। সে মর্যাদপূর্ণ এইচ ডব্লিউ রাউন্ড রবিন ডিবেট টুর্নামেন্টে ফাইনালিস্ট। সে শুধু ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করেছে তাই নয়, অংশগ্রহণ করা প্রতিটি আর্ন্তজাতিক ডিবেটে সে তাঁর স্বাতন্ত্রের ছাপ রেখেছে। 

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: আগামীতে আপনার ছেলেকে কোথায় বা কোন পেশায় দেখতে চান।

শামীম আল মামুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে স্নাতক শেষে বর্তমানে সাজিদ ইউনিলিভারে কর্মরত রয়েছে। ইউনিলিভারে একটি বিজনেস কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত হয়। কমপিটিশনটি হয় নির্ধারিত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে যত গ্র্যাজুয়েট বের হয় তাদের মধ্যে। সেই কমপিটিশনে সাজিদের টিমটি চ্যাম্পিয়ন হয় আমাদের ছেলে আরও পড়াশোনা করুক সেটি আমরা চাই। সে যে চাকরিই করুক না কেন একজন ভালো মানুষ হোক। তার দ্বারা মানুষের যেন মঙ্গল হয় তা আশা করি। সে খুবই নিয়মনিষ্ঠ, নীতিবান এবং সৎ মানুষ। সে নিজের আনন্দের জন্য ডিবেট করে তাই খুব প্রচার বিমুখ এবং বিনয়ী এবং মানুষের প্রতি তাঁর সম্মান দরদ দুটোই অসাধারণ। 

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন ডিবেট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কোন সরকারি কিংবা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যেত কিনা?

শামীম আল মামুন: সাজিদের কোন স্পন্সর ছিলনা। তাঁর সকল আর্ন্তজাতিক ডিবেটে অংশগ্রহণের খরচ তাঁর টিউশনি করা আয় এবং আমার নিজস্ব অর্থ থেকে মিটানো হয়েছে। মাঝে মাঝে শুনি ৫০০/১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। এমনকি এশিয়ার সেরা ২০০/২৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। অবস্থায় সাজিদরা বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিমগুলিকে পরাজিত করেছে। সেটা অনেক বড় অর্জন। সরকারি-বেসরকারি এবং বিত্তবান ব্যক্তিবর্গের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ভবিষ্যতে সাজিদের চেয়ে আরো ভালো বিতার্কিকের আবির্ভাব ঘটবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

 দ্যা বাংলাদেশ মোমেন্টস: আপনাকে ধন্যবাদ।

শামীম আল মামুন: দ্যা বাংলাদেশ মোমেন্টস-এর জন্য শুভ কামনা।


মন্তব্য