৪১তম বিসিএস

ঢাবির এক হল থেকেই ৫০ জন বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত!

ঢাবি
  © ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২ হাজার ৫২০ জনকে নিয়োগের ‍সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত এসব পরিক্ষার্থীর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা থাকে চোখে পড়ার মতো। 

তবে এবারের ফলাফলে চমক দেখিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ফজলুল হক মুসলিম হল। সংখ্যার হিসেবে তা প্রায় ৫০ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।

জানা যায়, ৪১ তম বিসিএসে শুধু ফজলুল হক মুসলিম হল থেকেই ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পুলিশ ক্যাডারে ৬ জন, প্রশাসন ক্যাডারে ৫ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১ জন, শিক্ষা ক্যাডারে ১৮ জন, আনসার ক্যাডারে ৩ জন, মৎস্য ক্যাডারে ১ জন, তথ্য ক্যাডারে ৩ জন, পরিসংখ্যান ক্যাডারে ১ জন, পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে ৫ জন, বন ক্যাডারে ২ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এছাড়া হলের আরো কিছু  শিক্ষার্থী  এই তালিকার বাইরে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা।

পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে এতো বেশি শিক্ষার্থী এক হল থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার নজির খুব কমই দেখা যায় বলে করেন শিক্ষার্থীরা।

তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিসিএস সিলেবাস বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের সাথে অনুকূল হওয়ায় কলা, ব্যবসায় শিক্ষা সহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে অন্যান্য বিভাগ থেকে পড়ালেখা শেষ করা একটি অংশ বেকার রয়ে যাচ্ছেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে আবেদন করেন ৪ লাখের বেশি প্রার্থী। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২১ হাজার ৫৬ জন উত্তীর্ণ হন। তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। গত বছরের ১০ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে ১৩ হাজার জন উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে থেকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ২ হাজার ৫২০ জন।

২ হাজার ৫২০ জনের মধ্যে প্রশাসনে ৩২৩ জন, পুলিশে ১০০ জন, পররাষ্ট্রে ২৫ জন, স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন ১০৮ জন, ডেন্টিস্ট ১৭১ জন, কৃষি ক্যাডারে ২৩০ জন, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৮৮ জন, বন ক্যাডারে ৩৬ জন, পশু সম্পদ ক্যাডারে ৭৬ জন, তথ্য ক্যাডারের তিন পদে ৩৮ জন, কর ক্যাডারে ৬০ জন ও অন্যান্য ক্যাডারে ৪৬৫ জন।

পেশাগত ১৬টি ক্যাডারে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কাউকে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি। এছাড়া নন-ক্যাডারে ৯ হাজার ৮২১ জন প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করা হয়।