৩৫ আন্দোলনে পুলিশি হামলার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

চাকরি
  © সংগৃহীত

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এর দাবিতে চলমান আন্দোলনে পুলিশি হামলা ও সংগঠনের আহ্বায়ক শরিফুল হাসান শুভকে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ব্যাপারে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যায় সংগঠনের ধারাবাহিক আন্দোলনের শেষ দিনে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫, অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেক্স (বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং একটি ম্যুরাল) স্থাপনের দাবিসমূহ বাস্তবায়নে ৩০ ই আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বরের লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে "সাবেক পিএসসির চেয়ারম্যানের সাদাকালো ছবি এক হাতে ধরে আরেক হাতে মুখ চেপে নিরব অভিনব প্রতিবাদ" করেন আন্দোলনকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য সচিব মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আমরা আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হই। আমাদের কর্মসূচির আজ শেষ দিন ছিল। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সাথে দেখা করা। আর এ বিষয়টি কোনোভাবে পুলিশ জেনে যায়। এক পর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ এসে আমাদেরকে হুমকি দেয় ১০ মিনিটের মধ্যে জায়গা খালি না করলে সবাইকে গুলি করা হবে।

রাসেল বলেন, এমতাবস্থায় আমরা সবাই প্রতিবাদ সরূপ শাহবাগ থানার সামনে গিয়ে জড়ো হই। এবং দুই হাত তুলে সবাইকে গণগ্রেফতারের আহ্বান জানাই। আমরা জানান দেই যে আইনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। এমন সময় পুলিশ আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে। আমাদের আহ্বায়ক শরিফুল হাসান শুভ ভাইকে গ্রেফতার করে। মারধরের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয় বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি কিন্তু কোনো ফলাফল পাচ্ছি না। গত ১০ জুন আমরা শাহবাগ অবরোধ করে আন্দোলন করেছিলাম। সেদিন আমাদের নানান ব্লেইম দিয়ে মারধর করা হয়। অথচ আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি।

পুলিশি নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে যুগ্ম আহ্বায়ক উর্মি সিদ্দিকা বলেন, একটা সভ্য দেশে একটা কুকুরকেও এভাবে মারা হয় না যেভাবে আমাদের ভাইদের মারা হয়েছে। মিছিল সমাবেশ করা তো আমাদের সাংবিধানিক অধিকার! আমি একটা মেয়ে মানুষ, কিন্তু আমাকেও তারা ছাড় দেয়নাই। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এই ছাত্র সমাজ। অথচ আজ ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্বকারীরা রাস্তায় পরে মার খাচ্ছে! আমরা নিরপরাধ শুভ ভাইয়ের মুক্তি চাই। হয় আমাদের সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে নাহয় আমরা এক ঘন্টার মধ্যে আত্মহত্যা করব। আমরা শুভ ভাইকে না নিয়ে রাস্তা ছাড়ব না। পুলিশ যদি আমাদের বাধা দেয় আমরা আত্মহননের পথ বেছে নেব। আমাদের যদি কিছু হয়ে যায় তবে এর সম্পূর্ণ দায়ভার পুলিশের।

গ্রেফতারের বিষয়ে মন্তব্য জানতে শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদকে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।


মন্তব্য