শিক্ষক নিয়োগে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি

এনটিআরসিএ
  © সংগৃৃহীত

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)’র বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রস্তাবের বিরোধিতা করে তা বন্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ১৮ ও ১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে চাকরি প্রত্যাশীরা।

৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) এনটিআরসিএ’র প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় ৫ দফা দাবির কথা জানান চাকরি প্রত্যাশীরা।

দাবিগুলো হলো- ১. বৈষম্যমূলক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে। ২. সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও অক্টেবরে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। ৩. শিক্ষক সংকট নিরসনে দ্রুত ১৮তম চূড়ান্ত ফলাফলের পর ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। ৪. অটো এমপিও চালু করতে হবে। ৫. ৩৫+ দের সুযোগ দেওয়া যাবে না।

এছাড়া এসময় আসাদুজ্জামান নামে এক চাকরি প্রত্যাশী জানান, যেখানে ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হয়ে গেছে সেখানে এ নিবন্ধনের ফলাফল প্রকাশের আগে আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বৈষম্যমূলক। অবিলম্বে এ হঠকারী সিদ্ধান্ত বন্ধ করতে হবে।

আরেক চাকরি প্রত্যাশী ইমরান নাজির বলেন, বিশেষ কোনো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যদি নিয়োগ দিতেই হয়, তবে তা বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করে সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। নতুবা, ১৮তম থেকেই সকল নিয়োগ দিতে হবে। কেননা ১৮ তম তে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছে প্রায় ৩.৫ লাখ। এর মধ্যে ১ লাখ অনায়াসেই নিয়োগ দেয়া যেতে পারে বলে তিনি মতামত দেন।

আরেক চাকরি প্রত্যাশী বলেন, আমাদের সাথে এনটিআরসিএ বেঈমানী করলে দেশে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করবো। পরিশ্রম করে এই পর্যন্ত এসেছি। বৃথা যেতে দিবোনা।  

এরপর তাদের পক্ষ থেকে এনটিআরসিএ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এর আগে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিক্ষক সংকট দূর করতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি পেলে দ্রুত বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।