১৩ বছর পর বিসিএসের ভাইভায় ডাক পেয়ে যা জুটলো দেবদাসের ভাগ্যে

বিসিএস
  © সংগৃৃহীত

১৩ বছর পর ভাইভার ডাক পাওয়া দেবদাস বিশ্বাসের ভাইভার ফল জানা গেছে। ২৯তম বিসিএস থেকে তিনি এ ভাইভায় ডাক পেয়েছিলেন। তবে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেবে না সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পিএসসি বলছে, কোনো প্রার্থী যদি পরীক্ষায় পাস করেন, তা প্রকাশ করা হয়। পাস না করলে কিছু জানানো হয় না।

পিএসসির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘দেবদাস বিশ্বাসের ভাইভা নেওয়ার ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছে। ফলও আমাদের হাতে এসেছে। তিনি ভাইভায় পাস করেননি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে আমরা দেবদাস বিশ্বাসের ভাইভা নিয়েছি। বোর্ড গঠন করে যথাযথ নিয়ম মেনে ভাইভা নেওয়া হয়েছে। ফল পর্যালোচনা করা হয়েছে। যেহেতু ফল ইতিবাচক বা নেতিবাচক, তা জানাতে হাইকোর্টের বাধ্যবাধকতা নেই, তাই আমরা এটি আর জানাচ্ছি না। পিএসসির আইন অনুসারে যে প্রার্থী পাস করেন, তাঁর নাম বা রোল নম্বর পিএসসির ওয়েবসাইটে বা মুঠোফোনে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হয়। পাস না করলে প্রার্থীকে আর অবহিত করা হয় না।

এদিকে ২৯তম বিসিএস থেকে ১৩ বছর পর ভাইভার ডাক পাওয়া দেবদাস বিশ্বাসের ভাইভা নিতে বিশেষ বোর্ড গঠন করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ওই বোর্ডেই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নেওয়া হয়েছে দেবদাস বিশ্বাসের সাক্ষাৎকার। পিএসসির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে।

ওই সূত্র জানায়, যথাযথ নিয়ম মেনে বিশেষ বোর্ড বসিয়ে ১৩ বছর পর ভাইভার ডাক পাওয়া দেবদাস বিশ্বাসের ভাইভা নেওয়া হয়েছে।

২০০৯ সালে ২৯তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন দেবদাস বিশ্বাস। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১০ সালে মৌখিক পরীক্ষার সময় টাকা জমা দেওয়ার রসিদ সঙ্গে না আনায় বাতিল হয় তাঁর মৌখিক পরীক্ষা। এ বিষয়ে ২০১১ সালে আদালতে রিট করেন তিনি। দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর পর আইনি লড়াই শেষে আবার পিএসসিতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাক পেয়েছেন তিনি।

পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী দেবদাস বিশ্বাসের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ০০১৫৭৫) মৌখিক পরীক্ষা ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’ ওই দিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির প্রধান কার্যালয়ে দেবদাস বিশ্বাসের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস বলেন, ২৯তম বিসিএসের প্রার্থী দেবদাস বিশ্বাস যখন মৌখিক পরীক্ষা দেন, সে সময় মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ সঙ্গে আনার নিয়ম ছিল। কিন্তু রসিদ সঙ্গে না আনায় দেবদাস বিশ্বাসকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি আদালতে রিট করেছিলেন। আদালতের চূড়ান্ত রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর আবার তাঁকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়।

২০০৯ সালে ২৯তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৪৯ প্রার্থী। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০১১ সালে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১ হাজার ৭২২ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশ করা হয়েছিল।