আত্মহত্যার তিনদিনের মাথায় ঢাবি ছাত্রের ৮ম চাকরি, হলেন দুদকের এডি

ঢাবি
মেহেদী হাসান  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র মো. মেহেদী হাসান আত্মহত্যার তিন দিনের মাথায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক (এডি) হিসাবে গেজেটভুক্ত হয়েছেন। তিনি গত ২৯ মে আত্মহত্যা করেন। আর ১ জুন দুদকের চুড়ান্তু ফলাফলের তালিকায় মেহেদীর নাম এসেছে। এছাড়া মেহেদি আত্মহত্যার আগে বিভিন্ন সময় ৭টি সরকারি চাকরিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

মেহেদী হাসান দুদকের গেজেটভুক্ত কর্মকর্তা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আবাসিক হলের একাধিক বন্ধু ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের এক কর্মকর্তা। মেহেদী বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গত ১ জুন দুদকের ফলাফলে দেখা যায়, গেজেটের তালিকায় ১১১ নম্বরে মো: মেহেদি হাসানের নাম রয়েছে। তার দুদকের পরীক্ষার রোল নম্বর ছিল ২১০০৬৭৪৬। তালিকায় নামের পাশেই তার নিজ জেলা ফরিদুপর লেখা আছে।  

এর আগে মেহেদী যে সাতটি চাকরি পেয়েছিলেন, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সহকারী পরিচালক, সহকারী সমাজসেবা অফিসার, বঙ্গবন্ধু হাটেক পার্কের সহকারী পরিচালক, রুপালী ব্যাংকের সিনিয়ার অফিসার, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) জুনিয়ার অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার, হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনে জেনারেল ম্যানেজার ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সহকারী পরিচালক।

বিশ্ববিদ্যালয়েল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মেহেদীর এক রুমমেট বলেন, তিনি অনেক দিন থেকে অসুস্থ ছিলেন। ঘুমাতে পারতেন না। এটা অনেকেই জানে। এছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মেহেদির সহকর্মীরাও এমনটিই জানিয়েছেন।

আত্মহত্যার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথম প্রকাশ করেছিলেন মেহেদীর বড় ভাইয়ের বন্ধু ও গাজীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলী। পরে তিনি জানিয়েছেন, তার মা মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি হতাশায় ছিলেন। ঘুমাতে পারতেন না। এ কারণে তাকে একমাস আগে মোহাম্মদপুরে ভাইয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে তিনি মেসে গিয়ে আত্মহত্যা করেন। খোঁজাখুঁজির পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মেহেদী হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ সেশনের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়।