দাবি না মানলে আমরণ অনশনের ঘোষণা ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশ প্রত্যাশীদের
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২২, ১১:৫২ AM , আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২, ১১:৫৯ AM

পিএসসি কর্তৃক বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী নন-ক্যাডার পদ বিভাজন বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে দাবিসমূহ মেনে না নিলে আমরণ অনশনের ঘোষনা দিয়েছেন নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রার্থী ও বেকার ছাত্রসমাজ।
রোববার (১৬ অক্টোবর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন ‘৪০তম বিসিএস উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার সুপারিশ প্রত্যাশী ও চাকরি প্রার্থী বেকার ছাত্র সমাজ’।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের অনেক ভাই আছেন যারা চাকরীর বয়স হারিয়েছেন। আমাদের দাবি দাওয়া মেনে না নেওয়া হলে আমরা আমরণ অনশনে বসার জন্য প্রস্তুত আছি। আমাদের দাবি সমুহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে না নিলে এখানেই আমরা আমরণ অনশন করবো।
তারা বলেন, আমরা এখানে বিশৃঙ্খলা করতে আসিনি। পিএসসি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। পিএসসি তাদের হটকারী সিদ্ধান্তের জন্য তাদের বিশ্বাস হারাচ্ছে। নন ক্যাডারের ব্যপারে পিএসসি বক্তব্য দিয়েছেন, যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেয়া হবে। আমরা তাদের কাছে জানতে চাই আমাদের প্রাপ্যটা কি? চাকরিক্ষেত্রে পিএসসি যে জট সৃষ্টি করেছে তা থেকে আমরা মুক্তি চাই।
তারা আরো বলেন, আমাদের সাথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা পিএসসিকে সময় দিতে চাই। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে আমরা আরো বৃহৎ কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবো।
তাদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো
(১) যেহেতু বিজ্ঞপ্তিতে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত নন অভার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় নাই, সেহেতু বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বিজ্ঞপ্তির পরে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিভ্রান্তির তারিখওয়ারী নন-ক্যাডার পদ বিভ্রাজনের মাধ্যমে পদসংখ্যা নির্ধারণের এই বেকারবিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
(২) বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী পদ বিভাজনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে (৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার এর পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএসকে প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং তারিখওয়ারী পদ বিভাজনের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
(৩) করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ করতে হবে।
(৪) যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি ২৯ মার্চ, ২০২২ খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত ৩৪-৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বর্তমান উদ্ভুত সমস্যার সমাধান করতে হবে।
(৫) বাংলাদেশের শিক্ষিত ও মেধাবী ছাত্রসমাজকে পিএসসি মুল বক্তব্য আড়াল করে অর্থাৎ "যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেওয়া হবে" এই ভিত্তিহীন কথা বলে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং বেকার সৃষ্টির এই অপপ্রয়াস অনতিবিলম্বে বন্ধ করে বেকারবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
(৬) বিগত এক যুগে পিএসসি যে স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।