যশোর-৪ আসন

নৌকার প্রার্থী বাবুলের মনোনয়ন বহাল রাখলেন আপিল বিভাগ 

যশোর
রায়ে প্রার্থিতা বহালের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক বাবুল  © টিবিএম ফটো

অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও যশোর-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক বাবুলের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের আবেদনে সাড়া দেননি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে তার প্রার্থিতা বহাল রয়েছে। এতে করে নির্বাচনে আর কোন ধরনের বাধা থাকল না এনামুল হক বাবুলের।

আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চেম্বার আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।

জানা যায়, এনামুল হক বাবুলের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ এনে আপিল করেছিলেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুকৃতি কুমার মণ্ডল। এছাড়া এনামুল হক বাবুলের মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিরুদ্ধে ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রনজিত কুমার রায় আপিল করেছিলেন। শুনানি শেষে ১৩ ডিসেম্বর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এনামুল হক বাবুল বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, হাজার হাজার মানুষ এই রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল, তাদের কাছে আমি দায়বদ্ধ। এই মানুষগুলোর কথা চিন্তা করে খুব স্বস্তি লাগছে এবং আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, তাঁর একমাত্র দয়ায় আমরা এই রায়টা পেয়েছি।

নির্বাচনী এলাকার মানুষকে উদ্দেশ্য করে বাবুল বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ভোট শুরু করেছি। এই ভোটকে আমরা সফল করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা রেখে আমাকে এই নৌকা দিয়েছেন তা বিজয় করতে সকলের প্রতি আমার আবেদন। অনেক সময় নষ্ট হয়ে গেছে, আর আমরা সময় নষ্ট করতে চাই না।

তিনি বলেন, প্রায় এক মাস থেকে একটি অপশক্তি আমার পিছনে ধাওয়া করছে। তার মধ্যেও আমরা জনগণের বিপুল সমর্থন পেয়েছি এবং অনেক নেতৃবৃন্দ আমার সাথে অন্তর দিয়ে কাজ করেছেন। আগামী দিনেও আমরা একসাথে বিরাট ভোট বিপ্লব করবো ইনশাআল্লাহ।

আইনজীবী মঞ্জুরুল হক বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল আহসান মজুমদার আমাদের প্রর্থীতার বৈধতা দেয়। বৈধতা দেয়ার প্রেক্ষিতে বর্তমান এমপি রনজিত কুমার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুকৃতি মণ্ডল নির্বাচন কমিশনে আমাদের বিরুদ্ধে আপিল করে। এই আপিলের শুনানিতে আমরা বৈধতা হারাই। বৈধতা হারানোর পরে আমরা রিটে আসি। আমাদের রিট খারিজ হয়। এর বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যাই। এখানে আমাদের বৈধতা বহাল রাখা হয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বৈধতা বহালের পিছনে দুইটি কারণ দেখানো হয়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ঋণখেলাপির যে অভিযোগ আনা হয়েছিল সেটি উচ্চ আদালতের একটি সিঙ্গেল বেঞ্চ ছয় মাসের জন্য একটি স্টে অর্ডার দিয়েছিল। সেটি বহাল থাকার কারণে আমরা নমিনেশন জমা দেয়ার আগে প্রায় চার কোটি টাকা জমা দেই। ইতোমধ্যে আমরা নব্বই শতাংশ টাকা জমা দিয়েছি। এর ফলে ব্যাংকের মামলা চালানোর যে আগ্রহ সেটি আর থাকে না। এই কারণে সকল অবস্থা বিবেচনায় আজকের এই পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আমাদের বৈধতা বহাল রেখেছে।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ