বেনজির-মতিউরের দুর্নীতির সত্যতা মিলেছে

বেনজীর
  © ফাইল ফটো

পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের সম্পদের পাহাড় দেখে চোখ কপালে উঠে অনেকের। আরেক সরকারি কর্মকর্তা মতিউরের সন্তান ইফাত পনের লাখ টাকায় ছাগল কেনার দেশজুড়ে তোলপাড়। প্রশ্ন উঠে সরকারি চাকরিতে এতো টাকার উৎস কী?

এক সংবাদ সম্মেলনে খোদ প্রধানমন্ত্রীই বলেন, তার এক পিয়ন চারশো কোটি টাকার মালিক-চলাফেরা করে হেলিকপ্টারে।! এরইমধ্যে কোটা আন্দোলনের নতুন ইস্যু।ইস্যু ঘুরে অপরাধী পার পেয়ে যাওয়ার ঘটনাও নতুন নয়। দুদকের আইনজীবীর কাছে প্রশ্ন, বেনজীর-মতিউরদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের তদন্তে আর কি পাওয়া গেল?

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম বলেছেন, আদালত যখন আদেশ দিয়ে জব্দ করার নির্দেশ দেয়, তার মানে দুদক যে তথ্য- উপাত্ত পেয়েছে, তার মধ্যে সত্যতা আছে। বেনজীর-মতিউর ছাড়াও আরও অনেকে রয়েছে। কোনটাই হারিয়ে যাওয়ার কিংবা ধামাচাপা দেয়ার সুযোগ নেই।

বেনজীরের দুর্নীতির অগ্রগতি রিপোর্ট চলতি সপ্তাহে আদালতে দাখিল করা হবে। খুব শিগগিরই সব অনুসন্ধানের অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে বলেও জানান দুদকের এই আইনজীবী।

তিনি আরও বলেন, বেনজীরের সম্পদের অনুসন্ধানের বিষয়ে হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছে, সে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে। সে রিপোর্টটি দাখিলের জন্য প্রগ্রেস রিপোর্ট সব তৈরি করা হয়েছে।

দ্রতই তদন্ত কার্যক্রম আবারও দৃশ্যমান হতে শুরু করবে বলে জানান দুদকের এই আইনজীবী।