শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়

শীত
  © প্রতীকী ছবি

কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি সমস্যা, যাতে সব বয়সের মানুষই ভোগেন। বংশগত কারণের পাশাপাশি অপরিকল্পিত ডায়েট, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়ে থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা একেকজনের একেকরকম। অনেকের এ সমস্যা ক্ষণস্থায়ী। আবার অনেকেই  দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন।

অনেক কিছু করেও এ সমস্যার সমাধান অনেকে পাননি। তবে আপনি কি জানেন?  খাদ্যাভাসে ৬ খাবার যোগ করেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে আপনি দূরে থাকতে পারেন। এগুলো হলো-

১। আপেল: পুষ্টিবিদদের মতে, আপেল কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সক্ষম। আপেলে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানে খোসাসহ আপেল খাওয়াই উচিত। রোজ সকালে একটি আপেল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

২। আঙুর: এই ছোট্ট ছোট্ট ফলগুলোতেও রয়েছে খাদ্যের নানা ধরনের জরুরি উপাদান। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পানির জুড়ি মেলা ভার। শরীরে পানির মাত্রা যত বেশি থাকবে, ততই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে। আঙুরে পানির সঙ্গে রয়েছে যথেষ্ট ফাইবার। ফলে সকালে কয়েকটি করে আঙুর খাওয়া গেলে শরীর যেমন সুস্থ থাকবে, তেমনি মুক্তি মিলবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও।

৩। কিউই: এই ফলে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। পাশাপাশি এক একটি কিউইতে থাকে  আড়াই গ্রাম ফাইবার। তা ছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পানি। সব মিলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে বেশ কার্যকরীই বলা যায় এই ফলকে।

৪। কলমিশাক: কলমিশাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কলমিশাকের পাতা ও কাণ্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ রয়েছে। আঁশ খাদ্য হজম, পরিপাক ও বিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে। তাই ডায়েটে কলমিশাকও রাখতে পারেন।

৫। শসা: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে শসাকেও প্রাধান্য দিতে পারেন। শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি। সেই সঙ্গে এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আপনাকে দূরে রাখে।

৬। কলা: কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধানে মহাঔষধ বলতে পারেন কলাকে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমস্যা সমাধানে দারুণ কাজ করে। এতে থাকা পটাশিয়াম বৃহদান্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে হজমশক্তিকে আরও গতিশীল করে।

এই ৬ খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ৩ লিটার পানি খাওয়াও নিশ্চিত করুন। ব্যাস, এতেই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আপনার কাছ থেকে শতহাত দূরে থাকবে।