গরমে স্বস্তি পেতে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানিতে শরীরের যে ক্ষতি

পানি
  © ফাইল ফোটো

ভ্যাপসা গরম, এক ফোঁটা বাতাস নেই, আর্দ্রতা অসহনীয়! এ রকম আবহাওয়ায় দেশের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। গ্রীষ্মের প্রথম দিকে তেমন গরম অনুভূত না হলেও জ্যৈষ্ঠের সাথেই শুরু হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে রাজধানীসহ সারা দেশেই পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে।

আবহাওয়া অফিস থেকেও জানানো হয়েছে আগামী ১১ জুনের মধ্যে তাপদাহ কমার সম্ভাবনা নেই। চলমান দাবদাহ আরও পাঁচ থেকে ছয় দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।

প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি দেয় ঠাণ্ডা পানি। অনেকে এ সময় বাইরে তীব্র রোদ থেকে ঘরে ফিরেই ফ্রিজ থেকে ঠাণ্ডা পানির বোতল নিয়ে ঢকঢক করে পান করতে শুরু করেন। এতে শরীর কিছুটা শীতল হলেও, তীব্র পানির পিপাসা মিটলেও হতে পারে নানান ক্ষতি। 

গরমে ঠাণ্ডা পানি খেলে শরীর সতেজ মনে হলেও এই অভ্যাস স্বাস্থ্যসম্মত নয়। অতিগরমে ঠাণ্ডা পানি পান করলে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি আমাদের পাকস্থলীতে যে গ্যাস্ট্রিক জুস রয়েছে যা কিনা আমাদের খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে সেই গ্যাস্ট্রিক জুসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত করে। 

অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি রক্ত নালি সংকুচিত করে। ফলে আমাদের খাদ্য হজম প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়। এ কারণে আমাদের খাদ্য উপাদানের যে স্বাভাবিক শোষণ প্রক্রিয়া সেটি বাধাগ্রস্ত হয়।

ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার ফলে শরীরের অভ্যন্তরের তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। ফলে শরীরকে তখন তার অপটিমাম তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত ক্যালরি ব্যয় করতে হয়। এতে শরীরের স্বাভাবিকতা অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া গলাব্যথা, নাক বন্ধ, কাশিসহ এবং বিভিন্ন রেসপিরেটরি সিস্টেমে বিভিন্ন ইনফেকশনের সমস্যা বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

ঠাণ্ডা পানি পান করলে হার্টরেট কম যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। সুতরাং গরমে বাইরে থেকে এসে সরাসরি আইস ওয়াটার না খেয়ে ভালো হয় যদি নরমাল টেম্পারেচারের পানি পান করা হয়। খেতে চাইলে ঠাণ্ডা পানি গ্লাসে কম পরিমানে নিয়ে স্বাভাবিক পানি মিশিয়ে পান করতে হবে। এতে অনেকাংশে বিপদ এড়ানো সম্ভব।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ