হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে আলু কেন খাবেন?

আলু খেতে ভালবাসেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। আলু ছাড়া যে কোনও সবজি রান্না হতে পারে, এটাই অনেকে ভাবতে পারেন না। স্বাদের খেয়াল রাখার পাশাপাশি শরীরের যত্নেও কিন্তু সমান পারদর্শী আলু। অনেকেই হয়তো জানেন না, আলু কিন্তু হার্ট ভাল রাখতে দারুণ ভূমিকা পালন করে।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হৃদ্‌রোগ থাকলে রোজকার পাতে রাখতে পারেন আলু। কিন্তু তার আগে জেনে নেওয়া জরুরি, আলু কী ভাবে যত্ন নেয় হৃদ্‌যন্ত্রের।

আলুতে কোলেস্টেরল বা স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ একেবারে কম। নেই বললেই চলে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়াতে এই দু’টি উপাদান অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে রোজ রোজ খাবারের মেনুতে রাখতেই পারেন আলু। সুফল পাবেন।

আলুতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে পটাশিয়াম। কিন্তু সোডিয়ামের পরিমাণ অত্যন্ত কম। উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে সোডিয়াম। তাই হৃদ্‌যন্ত্র ভাল রাখতে ভরসা রাখতে পারেন আলুর উপর।

ফাইবার-সমৃদ্ধ আলু রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে অল্প পরিমাণে খেলেও আলু দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরতি রাখতে সাহায্য করে। ফাইবার যত্ন নেয় হৃদ্‌যন্ত্রেরও। আবার ওজন নিয়ন্ত্রণেও কিন্তু আলুর ভূমিকা একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়।

আলুতে ভিটামিন সির পরিমাণ কম নয়। ভিটামিন সি রক্ত চলাচল সচল রাখে। রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা অনেকটা দূরে থাকে এর ফলে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম থাকে এতে। 

তবে আজকাল স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই আলু খেতে চান না। কারও কারও ধারণা আলু খেলে ওজন বাড়ে। কিন্তু গবেষণা বলছে, ভিন্ন কথা। গবেষণায় দেখা গেছে, আপনি যদি স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা অনুসরণ করেন এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে দূরে থাকেন, তাহলে আলু খেলে ওজন বাড়বে না। বরং সাদা এবং মিষ্টি আলু দুটিই ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ আলুতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া আলু কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবারের দারুন উৎস। জেনে রাখা ভালো, মাত্রাতিরিক্ত আলু খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য শ্রেয় নয়।