সপ্তাহে কয়টি ডিম খাওয়া যাবে?

প্রতিদিনের নাশতায় একটি করে ডিম খেতেই পারেন। ডিমের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। শিশুদের জন্য ডিম খুব পুষ্টিকর। শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় শক্ত করতে ও মেধার বিকাশে ডিম খুবই কার্যকর।

দিন বা সপ্তাহে কয়টি ডিম খাবেন?

ডিমের ভেতরে থাকে অ্যাভিডিন নামের গ্লাইকোপ্রোটিন। এটি শরীরে বায়োটিন শোষণে বাধা দেয়। বায়োটিন চুল ভালো রাখতে ও ত্বক-নখের গঠনে সাহায্য করে। বায়োটিনের অভাব খুব বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কাজের ওপরও তা প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু এই বায়োটিন শোষণে ডিমের সাদা অংশ বাধা দেয় বলে ডিম খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনা ভালো। যারা ওজন কমাতে চাইছেন তাদের জন্য সিদ্ধ ডিম খাওয়া ভালো।  

পুষ্টিবিদদের মতে, সপ্তাহে তিন-চারটি ডিমের বেশি না খাওয়াই ভালো। যারা প্রতিদিন খুব বেশি কায়িক পরিশ্রম করেন না, তাদের একসঙ্গে অনেকগুলো ডিম খাওয়া ঠিক নয়। সুস্থ মানুষের জন্য দিনে একটি এবং সপ্তাহে চারটির বেশি ডিম খাওয়া ঠিক নয়।

ডিমের পুষ্টিগুণ

ডিমের সাদা অংশে রয়েছে প্রোটিন। কুসুমে রয়েছে ভালো ফ্যাট, আয়রন ও ভিটামিন।   ডিমে আরো আছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। কুসুমে থাকা ভিটামিন 'ডি' হাড়ের জন্য ভালো। একটি ডিমে অ্যানার্জি থাকে ১৪৩ ক্যালোরি। কার্বোহাইড্রেট থাকে ০.৭২ গ্রাম প্রায়। প্রোটিন থাকে ১২.৫৬ গ্রাম, ফ্যাট থাকে ৯.৫১ গ্রাম। এ ছাড়া ফসফরাস থাকে ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম।

সূত্র : আনন্দবাজার।