চোখ উঠলে অবশ্যই যা করবেন, আর যা করবেন না

চোখের সাদা অংশ লালচে হলে, চোখ দিয়ে পানি পড়লে বা ব্যথা অনুভব করলে সাধারণত আমরা চোখ ওঠা বলি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে কনজাংটিভাইটিস। গরম আর বর্ষায় এই চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। রোগটি ছোঁয়াচে। 

সম্প্রতি রাজধানীসহ সারা দেশে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে। রোগটি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকায় অনেকেই বিভ্রান্তিতে পড়ছেন। তবে এ রোগ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। কিছুদিন ঘরে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেই ঠিক হয়ে যায়। চোখ ওঠা ভালো হতে সাধারণত ৩-৭ দিনে সময় লাগে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে চোখ ওঠা রোগ হয়। আবার কখনও কখনও অ্যালার্জির কারণেও এ রোগ হয়ে থাকে। যে মৌসুমে বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকে, সে সময় এ রোগটা বেশি হয়।

কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হলো- 

চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, তারপর অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। চোখ জ্বলে ও চুলকাতে থাকে। আলোয় চোখে আরও অস্বস্তি হয়। এছাড়া চোখে পুঁজের মতো জমা হয়, ঘুম থেকে উঠলে অনেক সময় চোখের পাতা লেগে থাকতে দেখা যায় এবং চোখ থেকে পানি ঝরে।

যা করবেন, আর যা করবেন না:

• সাবানপানি দিয়ে কিছুক্ষণ পরপরই হাত পরিষ্কার করতে হবে।

• কোনো কারণে চোখ ভেজা থাকলে চোখ টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে। ব্যবহারের পর টিস্যু পেপারটি অবশ্যই ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে হবে। না হলে ব্যবহার করা টিস্যু পেপার থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

• চোখ উঠলে চশমার ব্যবহার করুন। এতে চোখে স্পর্শ করা কমবে এবং ধুলাবালু, ধোঁয়া থেকে চোখ রক্ষা পাবে। আলোয় অস্বস্তিও কমবে।

• নিজের ব্যবহার করা ব্যক্তিগত কাপড়চোপড় অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না। 

• অন্য কারও আই ড্রপ ব্যবহার করা উচিত হবে না। এতে আবার কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।

• ভিটামিন সি এর পাশাপাশি সুষম খাবার খাওয়া।

•  এ সময়ে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।

• চোখ ঘষা বা চুলকানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

• ঠান্ডা বা সর্দির মতো উপসর্গ থাকলে কেবল অ্যান্টিহিস্টামিন সেবনই যথেষ্ট।

• অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ডোজ মেনে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া চোখে ড্রপ বা ওষুধ ব্যবহার না করাই উত্তম।