শীতকালে অ্যালার্জি বাড়লে ঘরোয়া প্রতিরোধের উপায়

লাইফ স্টাইল
শীতকালে অ্যালার্জি  © সংগৃৃহীত

অ্যালার্জির সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। কিছু নির্দিষ্ট জিনিসের বিরুদ্ধে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অস্বাভাবিক আচরণ করে। অথচ জিনিসগুলো হয়তো একেবারেই সাধারণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার এই অস্বাভাবিক আচরণটিই হল অ্যালার্জি। 

অনেকেরই বিভিন্ন খাবারে বা গন্ধে অ্যালার্জি‌ থাকে। অনেকের ধুলোবালিতেও অ্যালার্জি থাকে। ধুলোবালি বা ডাস্ট অ্যালার্জিই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এই সমস্যায় প্রচন্ড হাঁচি হতে থাকে। পাশাপাশি, ত্বকে প্রচুর র‌্যাশও হতে পারে। তবে কয়েকটি আয়ুর্বেদিক টোটকা মেনে চললে এর থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যেতে পারে।

হলুদ: হলুদ অন্যান্য অনেক রোগের মতোই ধুলোবালির অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে। হলুদ মেশানো জল খেলে গলা ফুলে যাওয়া ও কাশি অনেকটাই কমে যায়। রোজ রাতে হলুদ মেশানো জল খেলে অ্যালার্জির সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। 

তুলসী: তুলসীর মধ্যে প্রচুর জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে। এই কারণে এটি অ্যালার্জি প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। কয়েকটি তুলসী পাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে নিতে হবে। ছেঁকে নেওয়া মিশ্রণটি খেলে অ্যালার্জি থেকে অনেকটাই রেহাই মেলে। 

কালোজিরে: আয়ুর্বেদে কালোজিরেকে কৃষ্ণজারক বলা হয়। এটি বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। পাশাপাশি প্রদাহজনিত সমস্যাও কমায়। কালোজিরের তেল নাক ও গলায় মালিশ করলে অ্যালার্জির সমস্যা অনেকটাই কেটে যায়।

যোগ ব্যায়াম: তুলসী, হলুদ ও কালোজিরের মতো কয়েকটি যোগ ব্যায়ামও অ্যালার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা এমন চারটি ব্যায়ামের কথা বলেন। অর্ধচন্দ্রাসন, পবনমুক্তাসন, সেতুবন্ধাসন ও ব্রুক্ষাসন অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে। এছাড়া, নিয়মিত প্রাণায়াম করলেও এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই মেলে।