পূর্বের ন্যায় ভবিষ্যত-এও ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবেঃ প্রণয় ভার্মা
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:১৮ AM , আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:১৮ AM

রোববার (১১ ডিসেম্বর) মৈত্রী দিবস উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ইন্ডিয়া রিকগনেশন ম্যাটারস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের পাশে ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। দুদেশের সম্পর্কের ভিত্তি ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বন্ধন, একই স্বার্থ ও মূল্যবোধ এবং পরস্পরের প্রতি আস্থা ও বোঝাপড়া।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের মানুষের সঙ্গে মিত্রবাহিনী হিসেবে ভারতের অসংখ্য যোদ্ধার আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যে এই ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের মূল শেকড় নিহিত। আর সেই ধারাবাহিকতায় এখন দুই দেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে, যা খুবই বিশেষ, বহুমুখী ও অনন্য।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক। ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। সংগঠনের সদস্য সচিব নারায়ণ সাহা মনির সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাইদুর রহমান সজলসহ আরও অনেকে।
দুদেশের জাতীয় সংগীত ও একটি তথ্যচিত্র পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
দুদেশের সম্পর্কে ভাবাবেগ, ইতিহাস ও সংস্কৃতি জড়িয়ে আছে উল্লেখ করে প্রণয় ভার্মা বলেন, নতুন নতুন আশা, আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের মাধ্যমে দুই প্রতিবেশী বন্ধু দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হচ্ছে। সামাজিক বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং উন্নয়ন হচ্ছে। দুই দেশের উন্নতি পরস্পরের সঙ্গে জড়িত বলে আন্তর্জাতিক এজেন্ডাও প্রায় এক। এ কারণেই একই পথে একসঙ্গে কাজ করতে পারছে দুই দেশ।