মার্চেই ভারত থেকে বিদ্যুৎ আসছে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৪৭ AM , আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৬ AM

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, ভারতের ঝাড়খণ্ডে আদানি গ্রুপের নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আগামী মার্চ নাগাদ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ পাবে।
মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডে আদানি পাওয়ার লিমিটেডের নির্মাণাধীন ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি একথা জানান বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদ ও একদল সংবাদকর্মীদের নিয়ে নির্মাণাধীন ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালানের জন্য একটি বিশেষ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব হবে।
২০১৩ সালে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে সরকার। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহই ছিল যার লক্ষ্য।
২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগ ও আদানি পাওয়ারের মধ্যে একটি ক্রয় চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় আদানি ঝাডখণ্ডে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
ভারতের বাংলাদেশ স্পর্শকারী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের পাশেই ঝাড়খণ্ড রাজ্য। সেখান থেকে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়া হয়ে আসবে আদানির বিদ্যুৎ।
বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যের সূর্যমনি থেকে কুমিল্লা হয়ে দৈনিক ১৬০ মেগাওয়াট ও পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা হয়ে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আগামী গ্রীষ্মের চাহিদা পূরণে আরও বিদ্যুৎ প্রয়োজন। জ্বালানির বিকল্প উৎসও আমরা খুঁজছি। সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। প্রথম ইউনিট থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চের মাঝামাঝি পাওয়া যেতে পারে।”
আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান।
এখন শীত চলতে থাকায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কমে এসেছে। চলতি জানুয়ারি মাসের তথ্য অনুযায়ী, এখন দিনে ৮ হাজার মেগাওয়াট থেকে ৯ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হচ্ছে।
তবে গ্রীষ্ম মাসে এই চিত্রটি ভিন্ন থাকে। গত মার্চে দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১২৫০০ মেগাওয়াট থেকে ১৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের মধ্যে ছিল।