বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহবান অর্থমন্ত্রীর 

অর্থমন্ত্রী
  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্বব্যাংককে আহবান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। বিশ্বব্যাংকের কাজ করার জন্য বাংলাদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাত রয়েছে। তারা চাইলে আমাদের নদীপথ এবং নদীকেন্দ্রিক অর্থনীতির উপর কাজ করতে পারে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের নবনিযুক্ত বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় সভায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর।

মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের অর্থনীতির অন্যতম হাতিয়ার আমাদের যুবশক্তি। এই যুবশক্তির জন্য বিশ্বব্যাংক বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির কঠিন চ্যালেঞ্জের বছরেও বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার অনেক বেড়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বিশ্বের ৩৫তম বড় অর্থনীতির দেশ এখন বাংলাদেশ। যা অতি সম্প্রতি কানাডার অনলাইন প্রকাশনা সংস্থা ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টে প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি এও উল্লেখ করেন,‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি একটি অসাধারণ গল্প’।

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের অবস্থানকে চোখে পড়ার মতো উপস্থাপন করতে কিছু আইকনিক প্রকল্প গ্রহণের জন্য কান্ট্রি ডিরেক্টরকে অনুরোধ করেন তিনি।

আবদৌলায়ে সেক বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র কমিয়ে আনা, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু অভিযোজনসহ বিভিন্ন দিক থেকে বাংলাদেশ ট্রু গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন। পুরো এশিয়ার মধ্যে যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অনেক ভালো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন তিনি।

দ্বিপক্ষীয় এই সভায় পরিবেশগত পুনরুদ্ধার এবং ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলির নাব্যতা নিশ্চিত এবং ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের অনুরোধে “বিউটিফিকেশন অব ঢাকার” অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশের ঝুঁকি ও পদক্ষেপ সম্পর্কেও আলোচনা হয়।


মন্তব্য