ভারত পাশে থাকলে শক্তি পাবো: ওবায়দুল কাদের 

কাদের
ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের  © সংগৃৃহীত

ঢাকা সফররত ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না, কিন্তু তারা পাশে আছে। ভারত পাশে থাকলে শক্তি পাই। তাই বন্ধু হিসেবে ভারতকে পাশে দেখতে চাই।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ভুল-ত্রুটি আছে। তারপরও একটা কথা মনে রাখবেন—বাংলাদেশে শেখ হাসিনার চেয়ে আরেকজন বিশ্বস্ত বন্ধু আপনাদের নেই। এটা ভারতকে মনে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু যখনই সুযোগ পেয়েছেন বাঙালির জন্য কিছু করে গেছেন: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব। যখন যারা ক্ষমতায় তখন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে। যদি তারা বন্ধুত্ব রাখেন। নরেন্দ্র মোদি রেখেছেন, সেজন্য আছে। এই সম্পর্ক বিকশিত। আমাদের মধ্যে অনেক মিল আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ছিটমহল বিনিময় শান্তিপূর্ণ ছিল। এটা একটা বিরাট অর্জন, এর কৃতিত্ব আমাদের নেত্রীকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবশ্যই দিতে হবে। তারপরও আমাদের কিছু কিছু ব্যাপার আছে, যেমন পানি। সেটা আলোচনার মধ্যে আছে। আমরা বিশ্বাস করি, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমরা আমাদের পাওনাটা পাবো। যে বিষয়গুলো আছে সেগুলোর সমাধান করতে হলে বন্ধুত্ব রাখতে হবে, আলোচনা করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের ভোট আমাদের জনগণ। আপনারা পাশে থাকলে আমরা শক্তি পাই। কারণ, আমাদের এখানে শত্রু বেশি, ষড়যন্ত্র বেশি।

তিনি বলেন, আমরা ৭১-এর রাখিবন্ধন কখনও ভুলি নাই, ভুলতে পারি না। এটাই আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুতে প্রতিদিন ২ কোটি ১০/১২ লাখ টাকার টোল আদায় হচ্ছে। প্রথম ৬ মাসে ৪০৩ কোটি টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। মেট্রোরেলে গত ১০ দিনে ৮৮ লাখ টাকা ভাড়া হিসেবে পেয়েছি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পানিচুক্তি নিয়ে দুদেশের আলোচনাকে আমরা পজিটিভভাবে দেখছি। এখানে রাজ্য সরকারের বিষয় আছে। আপনারা যারা পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিক আছেন আপনারাও বলবেন—বাংলাদেশের দিকে একটু তাকাতে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ দল বিএনপি। তাদের সঙ্গে আছে জামায়াত, জঙ্গিবাদী কিছু দল। তাদের সাথে আছে অতি বাম, অতি ডান কিছু দল, সব মিলিয়ে ৩৩৷ তারাসহ ৩৪। এটা একটা জগাখিচুড়ি ঐক্য। এই ঐক্য গতবার ফল দেয়নি। আমরা দল ভাঙ্গা-ভাঙ্গিতে নেই। বিএনপি নিজেরা নিজেদেরকে ভাঙ্গা-ভাঙ্গি করে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


মন্তব্য