বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করেছে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৫ AM , আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৫ AM

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কাজের জন্য অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কাজের জন্য অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (প্রাক্তন ছাত্র সমিতির) মাধ্যমে আপনারা (বিশ্ববিদ্যালয়ের) নিজস্ব তহবিল বাড়ান।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল, আওয়ামী লীগ তা বন্ধ করেছে।'
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) গণভবনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি কাউন্সিলের (বিইউসি) স্থায়ী কমিটির সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে গঠিত বিইউসি।
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দেশের উন্নয়নে সময়ের উপযোগী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী এবং তাদের একটু সুযোগ দিলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে আসতে পারবে। এ লক্ষ্যে তিনি শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আরো দায়িত্বশীল ও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সোনার ছেলে-মেয়ে হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করতে হবে, যাতে তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকে। এ লক্ষ্যে আন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করেছে, দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে লৌহহস্তে। তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেখাপড়া করে চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণরা যাতে উদ্যোক্তা হতে পারে এবং অন্যদের চাকরি দিতে পারে, সে জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে দেশে শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি পায়। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর সরকার শিক্ষা, গবেষণা, উত্পাদন ও উৎকর্ষের পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, জয় ইয়ং বাংলা ও সিআরআইয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করছেন। দেশের উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০৪১ সালে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।