চলছে উপনির্বাচন: ভোট দিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:৫৭ PM , আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:৫৭ PM

ভোট দিলেন বগুড়ার দুই আসনের উপ নির্বাচনের আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টার দিকে বগুড়া সদরের এরুলিয়া কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন। এর আগে তিনি সকাল ৯টার দিকে কেন্দ্রে আসেন।
ভোট দেওয়া শেষে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ আমার ইউনিয়নে ভালো আছে। বগুড়া-৪ আসনের খবরও এখন পর্যন্ত ভালো পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বগুড়া সদর আসনে ভোটের দিন গ্যাঞ্জাম হতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করেছিলাম। লাহিড়ীপাড়া কেন্দ্রে আমার এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি অনেকবার ফোন দেওয়ার পর নির্বাচন কর্মকর্তা ফোন ধরেছেন। তাদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বিষয়টি দেখবে বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাইকে বলেছি সুষ্ঠু ভোট হবে এবার। আপনারা সবাই কেন্দ্রে এসে ভোট দেবেন। নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত অবশ্যই থাকার নিয়ত আছে। শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয়ী হবো।
মাঝপথে আপনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, মাঝপথে একজন প্রার্থী কখনো পালিয়ে যান না। কিন্তু যখন দেখেন এজেন্টকে বের করে দেওয়া হইতেছে, জোর করে ভোটে সিল দিতেছে তখন তো ভোটে থাকার থেকে না থাকাই ভালো। তখনই মাঝপথে চলে যাওয়া হয়। এখন পর্যন্ত এরকম ঘটনা ঘটেনি। ওই রকম ঘটনা ঘটলে তখন চিন্তা করবো।
দুই আসন থেকেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কিনা এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, এই মুহূর্তে বলতে পারতেছি না। কারণ বগুড়া সদরে ইতোমধ্যে গ্যাঞ্জাম শুরু হয়েছে। বগুড়া সদর থেকে পাশ করবো কিনা জানি না। তবে কাহালু-নন্দীগ্রামে পরিবেশ এখনো ভালো আছে। ওখান থেকে আমি খুব ফোন পাচ্ছি। ভোটাররা ভোট দিতেছে। খুবই ভালো পরিবেশ আছে।
আরও পড়ুন: ৬ আসনে চলছে উপ-নির্বাচন
বগুড়ার দুই সংসদীয় আসনের উপ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। এই দুই আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হিরো আলম।
উপনির্বাচন উপলক্ষে বগুড়ার দুই আসনে তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে ও ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। পাশাপাশি ১৪ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাব ১৭ টহল দল মোতায়ন আছে। এছাড়াও ভোটে আইনশৃঙ্খলারক্ষায় সাড়ে ৪ হাজার নিরাপত্তা কর্মী কাজ করছেন।