সন্ত্রাসী ভাড়া করে স্ত্রীকে হত্যা, টাকা দিতে না পেরে নিজেই খুন

খুন
  © সংগৃহীত

আব্দুর রহমান ও খাদিজা বেগম। দুজনই স্বামী-স্ত্রী। থাকতেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। কিন্তু তাদের মাঝে পারিবারিক ইস্যু নিয়ে দেখা দেয় বিরোধ। এরপর ২০০৯ সালে ভয়াবহ পরিকল্পনা করেন আব্দুর রহমান। স্ত্রীকে হত্যার। এ জন্য তিনি ১০ হাজার টাকায় একদল সন্ত্রাসী ভাড়া করেন।

একপর্যায়ে স্ত্রী খাদিজাকে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেন আব্দুর রহমান। আর সন্ত্রাসীরা তাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করে।

হত্যার পর চুক্তি অনুযায়ী আব্দুর রহমানের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে সন্ত্রাসীরা। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করলে আব্দুর রহমানকেও খুন করা হয়।

এরপর আলোচিত এই হত্যার ঘটনায় হয় মামলা। মামলার পর পালিয়ে যান আসামিরা। এরমধ্যে বিচার শেষে গত বছরের ৬ জুন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা।

সবশেষ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কেরানীগঞ্জের নবাবগঞ্জ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লোকমানকে (৩৫) গ্রেফতার করে র‌্যাব। দীর্ঘ ১৪ বছর পলাতক থাকার পর তিনি গ্রেফতার হলেন।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গঙ্গানগর গ্রামে আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগমের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে স্ত্রীকে হত্যার জন্য সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেন। সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে। এরপর চুক্তির টাকা না দেওয়ায় আব্দুর রহমানকেও হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ পরিত্যক্ত ডোবার কচুরি পানার নিচে লুকিয়ে রাখে সন্ত্রাসীরা।

র‌্যাব আরও জানায়, এ ঘটনায় আব্দুর রহমানের বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। যাতে লোকমানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।

মামলার পর আত্মগোপনে চলে যান আসামিরা। বিচারকার্য শেষে আদালত আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন। এসময় গ্রেফতার এড়াতে নবাবগঞ্জে আগলা এলাকায় ছদ্মবেশ ধারণ এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে আত্মগোপনে থাকেন লোকমান। কখনো শ্রমিক, গাড়ির হেলপার ও সবশেষ পিকআপের চালক হন তিনি।


মন্তব্য