পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৪ বছর আজ, মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষা
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:১৭ AM , আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:১৭ AM

দেশের ইতিহাসের বেদনাদায়ক পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস আজ। ২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর সদর দফতর পিলখানায় জওয়ানদের বিদ্রোহের নামে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বিডিআর প্রধানসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা। এ ঘটনায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে হত্যা মামলার রায় হলেও এখনও আপিল বিভাগে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। আর, বিস্ফোরক আইনে করা অপর মামলাটির তেমন কোনো অগ্রগতিই হয়নি।
পিলখানা ট্র্যাজেডির ভয়াবহ নৃশংসতার পর, হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আলাদা দুটি মামলার বিচার শুরু হয় একসাথে। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট দু’জায়গাতেই হত্যা মামলার বিচার শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষা, আপিল বিভাগে চূড়ান্ত আইনি লড়াইয়ের। তবে নিম্ন আদালতে ঝুলে আছে বিস্ফোরক আইনে করা মামলাটি। যদিও এরইমধ্যে কেটে গেছে ১৪ বছর।
তাই হত্যা ও বিদ্রোহ মামলায় খালাস মিললেও কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না, দুই শতাধিক আসামি। এ মামলায় আপিল শুনানির জন্য ফের বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দ্রুত চূড়ান্ত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, ট্রায়াল কোর্ট, হাইকোর্ট ডিভিশনে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার যেভাবে হয়েছে; আমার মনে হয় আপিল ডিভিশনেও একটা বেঞ্চ হওয়া দরকার। বেঞ্চ গঠন করা ছাড়া এটিও শুনানির আর কোনো উপায় আছে কী না-এটা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে এটা মাননীয় প্রধান বিচারপতির বিবেচনার ওপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুন: ফ্রি, ফেয়ার নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারবে না: মতিয়া চৌধুরী
অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, এ বছর আপিল শুনানি শুরু করবে রাষ্ট্রপক্ষ। তার আশা, ২০২৩ সালেই মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে। জানান, ১৩৯ জনের ফাঁসি বহালের পাশাপাশি যাদের সাজা কমানো হয়েছে; সে বিষয়ে শক্ত অবস্থান নেবে রাষ্ট্রপক্ষ।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, পুরো ব্যাপারটা তো আর আমার ওপর নির্ভর করে না। এটা আদালতের ওপর নির্ভর করে। আদালত যেভাবে পারেন নির্ধারণ করবেন। আর, আমাদের এই মামলাটা শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিচারক ছিলেন না। এখনও আমাদের ৮ জন বিচারক আছেন আশা করি এখন এটা শুনানি করা যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে। নৃশংস এ ঘটনায় করা দুই মামলায় আসামি ৮৫০ জন। এছাড়া, বাহিনীর নিজস্ব আইনে ৫৭টি মামলায় প্রায় ৬ হাজার জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।