কারও কাছে দয়া নয়, ন্যায্য অধিকার চাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত সহজ শর্তে অর্থায়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও উন্নত দেশগুলোকে এ বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে। আমরা কারো কাছে কোনো করুণা চাই না, দয়া ভিক্ষা চাই না, আমরা ন্যায্য অধিকার চাই।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুম হলে বাংলাদেশ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হলো এই সংকটময় সন্ধিক্ষণে আমরা হতাশ হয়ে লক্ষ্য করছি যে, অনেক অংশীদার সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে; যা বেশিরভাগ প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন অর্থায়নকে অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর করে তুলছে। অর্থাৎ একাধিক অনৈতিক ঘাতটির প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এরইমধ্যে বৃহত্তম প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতা দেখিয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছি। মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন কর্মমুখী প্রকল্প আমরা করে যাচ্ছি। পদ্মাসেতু নির্মাণ ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরব, মর্যাদা ও যোগ্যতার প্রতীক।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি ২২৯ ভবন ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে: রাজউক

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এডিবি আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। ৫০ বছর ধরে এডিবি আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। ১৯৭৩ সালের জাতির পিতার নেতৃত্বে এডিবির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়। গত ৫০ বছরে আমাদের যে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, কাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক; প্রতিটি ক্ষেত্রে এডিবির বিশেষ সহযোগিতা রয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে এডিবির সহায়তা তিন গুণ বেড়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশে এডিবির সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এডিবির ক্রমবর্ধমান অবদান দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এডিবির পোর্টফলিওতে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় বৃহত্তম গ্রাহক।

 


মন্তব্য