বাংলাদেশের নির্বাচন ও দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র
  © লোগো

বাংলাদেশের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন ও দেশের দুর্নীতি পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সময় সোমবার রাতে ‘২০২২ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ প্রশ্ন তোলে।

বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতির ২০২২ সালের চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সেখানেই বাংলাদেশ নিয়ে বলা হয়েছে কিছু কথা।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার চুক্তিগুলোর আলোকে প্রণীত বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক এ বার্ষিক প্রতিবেদনে পৃথিবীর ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলের স্থানীয় মানবাধিকার ও শ্রমিকদের অধিকারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রায় পাঁচ দশক ধরে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে এবং টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে। আগের মতোই শেখ হাসিনা সরকারপ্রধান হিসেবে আরও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা পান।

এতে বলা হয়, ব্যালট পেপারে সিল দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা এবং প্রতিপক্ষের পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের কারণে পর্যবেক্ষকদের কাছে নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু বলে স্বীকৃত নয়।

দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসামরিক কর্তৃপক্ষগুলো নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে চলে। নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর সদস্যদের বিরুদ্ধে অসংখ্য নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

প্রতিবেদন বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ থাকলেও সরকার এসব অভিযোগ শনাক্ত, তদন্ত, আইনের আওতায় আনা ও শাস্তির ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে খুব সামান্যই পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অন্যায্যভাবে গেপ্তার বা আইনের আওতায় আনা, সেন্সরশিপের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ।

শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠনের ক্ষেত্রেও সরকারের হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, বিষয়গুলো বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে ধরছে। আমরা এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখব।


মন্তব্য