ঈদযাত্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ থাকবে সদরঘাটে : জাতীয় কমিটি

ঈদ যাত্রা
  © সংগৃৃহীত

লঞ্চে করে বরিশালগামী যাত্রীর সংখ্যা কমলেও আসছে ঈদে ঘরমুখো মানুষের অস্বাভাবিক চাপের মুখে পড়বে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল। জানিয়েছে নৌ পরিবহন, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। এ কমিটির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতিদিন ৩ লাখ লোক হিসেবে ৯ দিনে গড়ে কমপক্ষে ২৭ লাখ লোক বাড়ি যাবে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল দিয়ে।

মঙ্গলবার ( ১১ এপ্রিল ) সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশিস কুমার দে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছর ঈদুল ফিতরে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যায় প্রায় দেড় কোটি মানুষ। এর মধ্যে ৩৭ দশমিক ৫০ লাখ (২৫ শতাংশ) নৌপথে যাতায়াত করে। এর প্রায় শতভাগই উপকূলীয় জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের যাত্রী।

সংগঠনটি জানায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর চাঁদপুর বাদে উপকূলীয় জেলাগুলোর নৌপথে যাত্রীর হার প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। ফলে এবারের ঈদে লঞ্চে ৩০ লাখ মানুষ (মোট যাত্রীর ২০ শতাংশ) যাবেন এবং তাদের মধ্যে অন্তত ২৭ লাখ ঢাকা নদীবন্দর দিয়ে যাবেন।

অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে এবং ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ ঈদ যাত্রা নিশ্চিত করতে বিকল্প উপায়ে জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে সরকারকে সুপারিশ করেছে জাতীয় কমিটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে সরকারিভাবে ৪১টি নৌপথ ছিল। তবে নাব্যতা সংকট ও যাত্রী সংকটের কারণে অন্তত ১৫টি নৌপথ ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়েছে। বাকি ২৬টি নৌপথে নিয়মিত সর্বোচ্চ ৭০টি লঞ্চ চলাচল করে। ঈদের আগে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮০-এর কাছাকাছি। এর মধ্যে সদরঘাট থেকে ৯০টি নৌযান বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং বাকি ৯০টি বিভিন্ন স্থান থেকে আসবে।

সংগঠনটি জানায়, প্রতিদিন ৯০টি লঞ্চে ৩ লাখ যাত্রী পরিবহন করলে একটি লঞ্চ গড়ে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ যাত্রী বহন করবে। কিন্তু লঞ্চগুলোর কোনোটিরই ধারণক্ষমতা দুই হাজারের বেশি নেই। এমনকি অনেক লঞ্চের যাত্রী ধারণক্ষমতা ১ হাজারেরও কম। এ ছাড়াও ঈদের আগের ৩ দিনে দেড় গুণ ভিড় বাড়বে। চ্যানেল ২৪