নতুন বছরকে বরণ করে নিল বাংলাদেশ শিশু একাডেমি

বৈশাখ
নতুন বছরকে বরণ করে নিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি  © টিবিএম ফটো

আজ পহেলা বৈশাখ। সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বর্ষ ১৪৩০। পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। আড়ম্বরপূর্ণভাবে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি। 

বাঙালির সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্যের সংমিশ্রণে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে পালিত হল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। 'বৈশাখের রং লাগাও প্রাণে' এই শিরোনামে শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০০ ফুট ক্যানভাসে রং তুলিতে আচড় দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণ। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জনাব আনজীর লিটন এবং চেয়ারম্যান লাকী ইনাম রং তুলিতে ক্যানভাসে রঙ দিয়ে এই কর্মযজ্ঞের সূচনা করেন।

বাংলা নববর্ষ বরণে শিশু একাডেমি

একপ্রান্তে যখন যখন শিশু-কিশোর,প্রশিক্ষক এবং অভিভাবকদের রং তুলিতে সাজছে ১০০ ফুট দীর্ঘ ক্যানভাস, ঠিক তখনই অপর প্রান্তে শুরু হয়ে যায় আমাদের চিরায়ত লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। ঢাক ঢোলের তালে তালে লাঠিয়াল বাহিনীর নানা ধরণের কলাকৌশলে মেতে উঠে পুরো শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণ। এ যেন নাগরিক জীবনে এক খন্ড পাল তোলা নৌকা কিংবা তপ্তরোদের মধ্য দুপুরে অবাধ সাঁতার কাটা সেই পল্লীগ্রামে বসে বাংলা ঐতিহ্যের ঘ্রাণ গায়ে মাখা।

এরপরই মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। বরাবরের থেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয় এবারের অনুষ্ঠান। শিশুদের পাশাপাশি এবারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রশিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ এবং শিশু একাডেমির কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ।

বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ সবার জীবনে বয়ে আনুক আনন্দ,সাফল্য এবং সমৃদ্ধি। শিশুরা বাঁচুক হাসিতে, শিশুরা বাঁচুক খুশিতে। এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেই নতুন বছরকে বরণ করে নিল বাংলাদেশ শিশু একাডেমি


মন্তব্য