রোববার লঘুচাপ, ৯ মে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির শঙ্কা

ঘূর্ণিঝড়
  © প্রতীকী ছবি

সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হচ্ছে এমন শঙ্কা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। কবে সৃষ্টি হবে, আঘাত হানবে, কতটা শক্তিশালী হবে এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে বঙ্গোপসাগরে আগামী রোববার একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরপর এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ধাপ পেরিয়ে তবেই ঘূর্ণিঝড় হবে। 

তবে আবহাওয়ার গাণিতিক মডেল সঙ্কেত দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের। এ অবস্থায় আগামী সপ্তাহে দেশের আবহাওয়া কেমন হবে, তা বোঝার জন্য সাগরের দিকে তাকিয়ে আছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, আগামী কয়েক দিন রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা দেখা যেতে পারে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নিয়ে দুদিন পর আরও সুস্পষ্টভাবে আভাস দেওয়া যাবে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রোববার নাগাদ লঘুচাপটি সৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ কামরুল হাসান বলেন, এ অঞ্চলে সাধারণত মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা বেশি থাকে। এবারের গাণিতিক মডেল অনুযায়ী এ মাসে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা আছে। এখনও লঘুচাপ তৈরি হয়নি। তা হওয়ার পর নিম্নচাপে রূপ নিয়ে গতি-প্রকৃতি নিয়ে জানানো যাবে। বঙ্গোপসাগরে মে মাসে যেসব সাইক্লোন হয়, তার পথ সাধারণত বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে আসে। লঘুচাপ সৃষ্টির পরও অনেক অনিশ্চয়তা থাকে। সম্ভাব্য ঘুর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে এগোতে পারে। 

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ইউরোপীয় মডেল অনুসারে ১২ মে দুপুর ১২টার পর কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে আবহাওয়ার আমেরিকা মডেল বলছে, ১৩ মে দুপুর ১২টার পর উত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ভোলা জেলার উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) তথ্য অনুসারে, আজ শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত। রোববার তা লঘুচাপ ও সুস্পষ্ট লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ৮ মে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর দিকে এগোবে। ৯ মে তা মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।


মন্তব্য